চলছে কালীঘাট সেতু পরীক্ষার কাজ। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল শনিবার রাত থেকেই। রবিবার রাত পর্যন্ত কালীঘাট সেতু বন্ধের সেই নির্দেশিকা জারি হয়েছিল আগেই। কিন্তু রবিবার সকাল এগারোটা নাগাদ সেতুর কাছে গিয়ে দেখা গেল, মাঝ বরাবর দাঁড়িয়ে দু’টি ট্রাক! তা-ও বালির বস্তা বোঝাই। খোঁজ নিতেই জানা গেল, তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে।
কালীঘাট সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে আনা ওই ট্রাক দু’টিতে ২০ টন করে মোট ৪০ টন বালির বস্তা ছিল। সেতুর মাঝে ট্রাক দু’টি রেখে এ দিন তার শক্তি পরীক্ষা করা হয়। ওই সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার দায়িত্ব পেয়েছে এক বেসরকারি সংস্থা। তারাই পরীক্ষার ফলাফল জানাবে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)-কে। ওই সংস্থারই এক ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সেতুতে মোট ১০টি গার্ডার রয়েছে। বালির বস্তা বোঝাই ট্রাক দু’টি সেতুর মাঝখানে রাখা হয়েছে। পরে ওই ট্রাক দু’টি সেতুর উপরে চালিয়ে দেখা হবে গার্ডারগুলি কতটা পোক্ত।’’ সেতুতে কর্মরত ইঞ্জিনিয়ারেরা জানাচ্ছেন, গার্ডারগুলি কতটা পোক্ত, অর্থাৎ কতটা ভার বহনে সক্ষম তা সেন্সরে ধরা পড়বে।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে সামান্য দূরত্বে থাকা সেতুটির গার্ডারই শুধু নয়, গোটা স্বাস্থ্যেরই পরীক্ষা করছেন ইঞ্জিনিয়ারেরা। ওই সেতুর লোহার রড, সিমেন্ট প্রভৃতির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান ইঞ্জিনিয়ারেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, লোহার রডগুলির অনেক জায়গায় মরচে ধরেছে। তাঁদের দাবি, রবিবার রাত দশটার মধ্যে সব পরীক্ষা শেষ হয়ে যাবে।
কালীঘাট সেতু বন্ধ থাকায় এ দিন গাড়িগুলিকে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। ছুটির দিন হওয়ায় যানজট হয়নি ঠিকই, তবে অনেক ঘোরায় ভোগান্তি হয়েছে যাত্রীদের। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকাল সাতটা থেকে দুপুর একটা হাজরা মোড় থেকে পশ্চিমমুখী গাড়ি হরিশ মুখার্জি রোড দিয়ে গিয়েছে। রাত ১০টা পর্যন্ত পশ্চিমমুখী গাড়িগুলিকে পরিস্থিতি বুঝে বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy