প্রতীকী ছবি
এসএসকেএমের পাশাপাশি এ বার শহরের আরও চারটি হাসপাতাল-সহ মোট ১১টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চালু হচ্ছে ইমার্জেন্সি মেডিসিন পরিষেবা। এর জন্য ওই নতুন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে মোট ১৩২টি পদ তৈরি করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
নতুন পরিষেবা শুরুর তালিকায় রয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ, আর জি কর, ন্যাশনাল মেডিক্যাল, কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল, বাঁকুড়া সম্মিলনী, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, মেদিনীপুর ও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, আশা করা যাচ্ছে, পুজোর পর থেকেই ওই সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগের পরিষেবা পুরোপুরি চালু হয়ে যাবে। ১১টি মেডিক্যাল কলেজেই ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগে এক জন করে প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ও অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের পাশাপাশি ৯ জন করে সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে। এঁরা প্রত্যেকেই ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ হবেন। ওই কর্তার কথায়, “সাধারণ জরুরি বিভাগে ইমার্জেন্সি মেডিসিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এতে রোগীর জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সমস্যার চিকিৎসা চালু করার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হয়।”
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হৃদ্রোগে আক্রান্ত, প্রবল শ্বাসকষ্ট, স্ট্রোকে আক্রান্ত বা অন্যান্য জটিল সমস্যার রোগীদের অধিকাংশ সময়েই জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালের সাধারণ ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসেন পরিজনেরা। সেখানে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করার পরে সংশ্লিষ্ট বিভাগে স্থানান্তরিত করেন। সেখানে যাওয়ার পরে রোগীর নির্দিষ্ট রোগ বা সমস্যার জরুরি চিকিৎসা শুরু হয়। এই প্রক্রিয়ায় অনেকটা সময় নষ্ট হয়। অনেক সময়ে রোগীর প্রাণসংশয়ও তৈরি হয়। যদিও জরুরি বিভাগে এলে সব রোগীকে প্রথমে স্থিতিশীল করতে হবে বলেই সরকারের নির্দেশিকা রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার কথায়, “জরুরি বিভাগে সাধারণ মেডিক্যাল অফিসারের পাশাপাশি যদি ইমার্জেন্সি মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকেন, তা হলে তখনই রোগীর সংশ্লিষ্ট সমস্যার প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব। এতে ঝুঁকিও অনেক কমে যায়।” তিনি জানাচ্ছেন, বিদেশে জরুরি বিভাগ সামলান ইমার্জেন্সি মেডিসিনের চিকিৎসকেরা। এ রাজ্যেও সেই ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
রাজ্যে একমাত্র এসএসকেএম হাসপাতালে ইমার্জেন্সি মেডিসিন পরিষেবা চালু রয়েছে। সেখানে রয়েছে নির্দিষ্ট বিভাগও। রাজ্যের ওই ১১টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই পরিষেবা চালুর জন্য নির্দিষ্ট ওয়ার্ড তৈরির কাজও প্রায় শেষ। যেমন, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইতিমধ্যেই মেজর ও মাইনর অপারেশন থিয়েটার-সহ ওয়ার্ড তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন সেখানকার অধ্যক্ষ রঘুনাথ মিশ্র। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ১১টি মেডিক্যাল কলেজে ওই পরিষেবা পুরোমাত্রায় চালু হয়ে গেলে, এসএসকেএমের মতো সেখানেও ইমার্জেন্সি মেডিসিনে এমডি পড়ানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy