নিহত শুভ্রা ঘোষ।
ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেল এক বৃদ্ধার দেহ। গলায় গামছার ফাঁস। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার শিশিরবাগান এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা, খুন করা হয়েছে ৮০ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধাকে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশিরবাগানে দোতলা ওই বাড়িতে একাই ছিলেন শুভ্রা ঘোষ দস্তিদার। এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ ওই বাড়ির পরিচারিকা বাড়িতে ঢোকেন। সেই সময় তিনি দেখেন,বাড়ির সদর দরজা খোলা।তিনি শুভ্রাদেবীকে বার বার ডাকাডাকির পরেও কোনও জবাব না পেয়ে দোতলায় ওঠেন। সেখানেই ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন শুভ্রাকে।তিনি প্রতিবেশীদের খবর দেন। পুলিশেও খবর দেওয়া হয়। প্রতিবেশীদের দাবি, বৃ্দ্ধার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। একটি গামছাও জড়়ানো রয়েছে গলায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সময় বাড়িতে একাই ছিলেন শুভ্রা। তাঁর ছেলে এবং পুত্রবধূ অফিসে ছিলেন। নাতনি ছিল স্কুলে। রোজই ওই সময় তিনি একাই থাকেন।পরিবারের তরফে পুলিশকে জানানো হয়েছে, নীচের তলায় ঘর লণ্ডভণ্ড। বেশ কিছু মূল্যবান জিনিস খোয়া গিয়েছে বলে পরিবারের তরফে প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছে। বৃদ্ধার দেহে আঘাতের চিহ্ন এবং পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশের ধারণা খুন করা হয়েছে শুভ্রাকে।
খুনের ঘটনার পর তদন্তে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র
আরও পড়ুন: ২৬ মাস পর অনুপম হত্যা-কাণ্ডের রায়, দোষী সাব্যস্ত স্ত্রী মনুয়া ও তার প্রেমিক অজিত, সাজা ঘোষণা কাল
আরও পড়ুন: বাসে জানলার বাইরে যাত্রীর হাত, পিলারে ধাক্কা লেগে কেটে পড়ল কলকাতার রাস্তায়
ঘটনাস্থলে পৌঁছন গোয়েন্দা বিভাদের আধিকারিক এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের সন্দেহ লুঠের উদ্দেশ্যেই হানা দিয়েছিল আততায়ীরা। কোনও ভাবে দুষ্কৃতীদের উপস্থিতি টের পেয়ে যান বৃদ্ধা। তিনি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন বা তিনি হয়তো দুষ্কৃতীদের চিনে ফেলেছিলেন। সেই কারণেই তাঁকে আঘাত করে এবং শ্বাসরোধ করে খুন করে দুষ্কৃতীরা।
তবে পুলিশ অন্য দিকগুলিও খতিয়ে দেখছে। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতেই লুঠ কি না তা-ও দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy