—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে শুক্রবার সকাল থেকেই সক্রিয় হল ইডি। শুক্রবার সকাল ৭টা নাগাদ তদন্তকারীদের একটি দল হানা দেয় প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ প্রোমোটার রাজীব দে-র নাকতলার বাড়িতে। পার্থের নাকতলার বাড়ির উল্টোদিকেই বাড়ি এই প্রোমোটারের। তবে শুধু নাকতলাই নয়, শহরের মোট পাঁচ জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকেরা। তল্লাশি চলছে বাঁশদ্রোণীর একটি বাড়িতেও। ইডি সূত্রে খবর, ওই বাড়িটিও রাজীবের মালিকানাধীন।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকে নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র তদন্তে নেমে রাজীব দে নামের ওই প্রোমোটার তদন্তকারীদের আতসকাচের তলায় আসেন। তদন্তের সূত্রেই বেশ কিছু নথিপত্র খতিয়ে দেখতে গিয়ে পার্থের সঙ্গে ওই প্রোমোটারের ‘ঘনিষ্ঠতা’র বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তার পর শুক্রবার সকালে রাজীবের দুয়ারে কড়া নাড়লেন তদন্তকারীরা।
তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত, রাজীবের বাড়িতে ঢুকতে পারেননি ইডি আধিকারিকেরা। তাঁরা চাবির জন্য অপেক্ষা করছেন। জানা গিয়েছে, বাড়ির লাগোয়া অংশে রাজীবের ইমারতি দ্রব্য বিক্রির একটি অফিস রয়েছে। রাজীবকে নিয়ে সেই অফিসে যাওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে তদন্তকারীদের।
গত মঙ্গলবারই রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় সল্টলেক-সহ কলকাতার ছ’জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ প্রথমে সল্টলেকের আইবি ব্লকের একটি বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা। পরে জানা যায় বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে ইডি আধিকারিকেরা পার্ক স্ট্রিট, রাসেল স্ট্রিট, বাগুইহাটি, কৈখালি এলাকার আরও পাঁচটি জায়গায় হানা দিয়েছেন। তদন্তকারীদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও। রাত থেকে জেরা করার পর বুধবার সল্টলেক থেকে গ্রেফতার করা হয় বিশ্বজিৎ দাস নামে এক ব্যবসায়ীকে। তিনি বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং রেশন মামলাতেই ধৃত শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকুর ঘনিষ্ঠ বলে ইডি সূত্রে জানা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy