ফাইল চিত্র।
অতিমারিতে জারি হওয়া রাতের বিধিনিষেধ শিথিল হচ্ছে পঞ্চমী থেকে। তার আগেই পুজোর কেনাকাটার ভিড় রাতেও উপচে পড়ছে বড়বাজার, নিউ মার্কেট, ধর্মতলা চত্বরে। প্রতিদিনই শহরের পথে যানবাহনের গতি বাধা পাচ্ছে। এই অবস্থায় পুজোর কয়েক দিন যান চলাচল স্বাভাবিক রাখাই পুলিশের কাছে এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যার মোকাবিলায় প্রস্তুতি ছকে নিতে আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সে বাহিনীর আধিকারিকদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার এক বৈঠক করেন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। বৈঠকের শেষে সিপি জানান, রাস্তায় ট্র্যাফিকের বিধিনিষেধ আগের থেকে এখন কমেছে। পাশাপাশি পুজোয় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
গত বছর সংক্রমণের আতঙ্ক এবং কলকাতা হাই কোর্টের কড়া নির্দেশ, এই দুইয়ের জন্য পুজো মণ্ডপ এবং রাস্তায় ভিড় কম ছিল। এ বার হাই কোর্ট ওই নির্দেশ বহাল রাখলেও তা কার্যকর হওয়া নিয়ে ধন্দে প্রশাসনেরই একটি অংশ। কারণ, ইতিমধ্যেই গত কয়েক দিনে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। যা দেখে পুলিশের আশঙ্কা, মণ্ডপে প্রবেশ নিষিদ্ধ হওয়ায় বেশি মানুষ গাড়ি নিয়ে বেরোবেন। আর রাস্তা থেকেই চলবে প্রতিমা দর্শন। তাই যানজট ও ভিড় নিয়ন্ত্রণ করে অবস্থা সামাল দিতে বিশেষ প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে লালবাজারকে।
সূত্রের খবর, গত বছরের আগের কয়েক বছর পুজোর দিনগুলিতে ট্র্যাফিক পুলিশকে সব চেয়ে বেশি বেগ পেতে হয়েছে রাসবিহারী অ্যাভিনিউ এবং চেতলা সেন্ট্রাল রোডে। দেশপ্রিয় পার্ক, রাসবিহারী মোড় এবং চেতলায় পুজোর ক’দিন দীর্ঘ যানজটে গাড়ির গতি বাধা পেয়েছে। ওই সব রাস্তায় ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে বাহিনীর অন্য সদস্যদের নামিয়ে অবস্থা সামাল দিয়েছিল পুলিশ। লালবাজার সূত্রের খবর, এ বারেও সেই ব্যবস্থা থাকছে। শহরের ৩৮টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বেছে চতুর্থী থেকে সেখানে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। রাসবিহারী মোড় বা ঢাকুরিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এক জন এসি-কে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের ৬৮টি বড় বড় পুজো মণ্ডপের আশপাশের রাস্তায় গাড়ি রাখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকালে বা বিকেলে যত্রতত্র যেন গাড়ি না রাখা হয়, তা দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাহিনীকে। বাহিনীকে মণ্ডপের সামনে পৌঁছে দিতে পুলিশের গাড়িও যেখানে সেখানে না রাখতে এ দিনের বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তারা। ওই সব গাড়ি রাখার কারণে যানজট হয় বলে জানিয়েছেন একাধিক ট্র্যাফিক কর্তা। তাই পুলিশের গাড়ি বাহিনীকে পৌঁছে দিয়ে কোথায় দাঁড়াবে, তাও আগেভাগে নির্দিষ্ট করার চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy