সুরুচি সঙ্ঘের প্রতিমা নিজস্ব চিত্র
চতুর্থীর মধ্যরাতে যেখানে শেষ হয়েছিল, পঞ্চমীর সকাল যেন শুরু হল সেখান থেকেই! ভ্যাপসা গরম, সঙ্গে মেঘের উঁকিঝুঁকি উড়িয়ে দিনভর মণ্ডপে-মণ্ডপে ঘুরল উৎসাহী জনতা। দুপুরে রেস্তরাঁগুলির সামনে ভিড় জমলেও বিকেলের পর থেকে পুজোমুখী হল ভিড়। সন্ধ্যার পরে যা বাঁধ ভাঙল। ভিড় ঠেলে টালা প্রত্যয়ের লাইনের দিকে এগিয়ে যাওয়া এক যুবক বললেন, ‘‘দু’বছর মুখ ঢেকে শুধু ঘরেই কেটেছে। এ বার সপ্তমী থেকে বৃষ্টি হবে বলছে। তার আগেই উত্তর, দক্ষিণ সব শেষ করতে হবে।’’
গত দু’বছরের পরে এ বার ভিড়ের ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন উদ্যোক্তারা। যার আঁচ পাওয়া গিয়েছিল মহালয়ার দু’-এক দিন আগে থেকেই। দেবীপক্ষ যত এগিয়েছে, ততই ভিড় বেড়েছে মণ্ডপে মণ্ডপে। দক্ষিণের সুরুচি, একডালিয়া, দেশপ্রিয় পার্ক, ত্রিধারার ভিড়ের সঙ্গে টক্কর দিল উত্তরের টালা প্রত্যয়, কলেজ স্কোয়ার, হাতিবাগান সর্বজনীন। নতুন পোশাকে সেজে সকাল থেকেই মণ্ডপে ঢোকার লাইনে দাঁড়ালেন আট থেকে আশি। সেই সঙ্গে মণ্ডপের সামনে বসে আড্ডা জমানোর চেনা ছবিরও দেখা মিলল।
মণ্ডপ, রেস্তরাঁর ভিড়ের সঙ্গেই বেড়েছে যানজট। সেই সঙ্গে দেখা মিলেছে উৎসবের মরসুমে বিধি ভেঙে বেপরোয়া বাইক চালানোর চেনা ছবিরও। বিকেলের পর থেকে একাধিক রাস্তায় গাড়ির লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে এ দিন। বেলার দিকে ভিড় সামলানো গেলেও সন্ধ্যা নামতেই পরিস্থিতি জটিল হয়। নাকাল হন পুলিশকর্মীরাও। এ দিন সন্ধ্যায় হাজরা মোড়ে যানশাসনে ব্যস্ত এক পুলিশকর্মীকে বলতে শোনা গেল, ‘‘ভিড় হবে ভেবেছিলাম, কিন্তু পঞ্চমী থেকে এত যে বাড়াবাড়ি হবে, তা ভাবিনি।’’
পঞ্চমীর সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত যত গভীর হয়েছে, ততই বেড়েছে ভিড়ের চাপ। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বড় পুজো মণ্ডপের ভিতরে ঢুকতেই ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় লেগে যায় বহু জায়গায়। ভিড়ের চাপে অনেকেই আবার শুধু মণ্ডপ আর আলোকসজ্জা দেখে বেরিয়ে আসেন। দেশপ্রিয় পার্কের মণ্ডপের সামনে থেকে ব্যারিকেড টপকে বেরিয়ে আসা এমনই এক যুবক বললেন, ‘‘যা অবস্থা দেখছি, ভিতরে ঢুকতে গেলে আজ রাতে আর বাকিগুলো শেষ করতে পারব না। প্যান্ডেল দেখেছি, এই অনেক।’’ অনেকে আবার ভিড় এড়াতে তালিকা মিলিয়ে বড় পুজোগুলোকেই ‘টার্গেট’ করলেন এ দিন। তালিকা ধরে দক্ষিণে ঘুরে বেড়ানো অঙ্কিত ভট্টাচার্য বললেন, ‘‘দিন ধরে ধরে পরিকল্পনা তো সব পাকা। দুগ্গা দুগ্গা করে বৃষ্টি এসে সব ভেস্তে না দিলেই হয়।’’ সব মিলিয়ে ভিড়ের টেক্কায় দিনভর চতুর্থীকে গোল দিল পঞ্চমী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy