—প্রতীকী চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে গিয়েছেন কলকাতা পুলিশের ১২ হাজার কর্মী ও আধিকারিক। ফলে, মুষ্টিমেয় অফিসার ও কর্মীকে দিয়ে কী ভাবে শহরের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে থানার কাজ চালানো, এমনকি পথে যান নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, সেই আশঙ্কা ছিলই। শুক্রবার দৃশ্যত সেটাই সত্যি হল। থানা থেকে ট্র্যাফিক গার্ড, সারা দিনই কাজ চলল কার্যত জোড়াতাপ্পি দিয়ে। কোথাও সেরেস্তার কাজ সামলালেন এক জন, কোথাও এলাকার রুটিন টহলদারি কাটছাঁট করতে হল পুলিশকর্মীর অভাবে।
লালবাজার জানাচ্ছে, রিজ়ার্ভ ফোর্সের পরে সব চেয়ে বেশি কর্মী নেওয়া হয়েছে ট্র্যাফিক গার্ড এবং থানা থেকে। ফলে, রাস্তায় ডিউটি করার জন্য পুলিশকর্মী প্রায় পাওয়া যাচ্ছে না বললেই চলে। বাধ্য হয়ে যান নিয়ন্ত্রণের জন্য আধিকারিকদের ভরসা করতে হচ্ছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপরে। এ দিন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে যাও বা ট্র্যাফিক সামলেছেন মুষ্টিমেয় কয়েক জন পুলিশকর্মী, অন্য রাস্তাগুলি ছিল কার্যত রক্ষীবিহীন। একাধিক স্কুল আগাম ছুটি ঘোষণা করলেও যে গুটিকয়েক স্কুল খোলা ছিল, ছুটির সময়ে সেগুলির সামনেও ছিল গাড়ির ভিড়।
বালিগঞ্জের একটি স্কুলের সামনে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার বললেন, ‘‘আমাদের কেউ কি ভয় পায়, না কথা শোনে? এক জন সার্জেন্ট রাউন্ড দিচ্ছেন বলে তা-ও রক্ষে।’’ এ দিন ইএম বাইপাস থেকে শুরু করে তপসিয়া রোড, ডায়মন্ড হারবার রোড, রামমোহন রায় সরণি, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউতেও পুলিশের সংখ্যা ছিল কম।
একই চিত্র থানাতেও। একাধিক থানায় রুটিন টহলদারির কাজ চালাতে হয়েছে এক জন অফিসার এবং হাতে গোনা সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে। দক্ষিণ-পশ্চিম ডিভিশনের একটি থানার আধিকারিক বলেন, ‘‘এই দু’দিনের জন্য তো পুলিশ তৈরি করতে পারব না। যা আছে, তাই দিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছে।’’
লালবাজারের কর্তারা অবশ্য প্রকাশ্যে অসুবিধার কথা মানতে চাননি। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘এর আগেও বাহিনী থেকে পুলিশ ভোটের কাজে গিয়েছে। শহরের নিরাপত্তায় যাতে কোনও ফাঁক না থাকে, তার জন্য সব অফিসারদেরই নির্দেশ দেওয়া আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy