Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Dengue

দক্ষিণ দমদমে মশা দমনে ড্রোন আরও দুই ওয়ার্ডে

দক্ষিণ দমদম পুরসভা সূত্রের খবর, ডেঙ্গি এবং জ্বর মিলিয়ে গোটা পুর এলাকায় হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মশাবাহিত রোগে আট জনের মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যেই।

An image of Dengue

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৪২
Share: Save:

পথ দেখিয়েছিল একটি ওয়ার্ড। সেই পথ ধরে এ বার দক্ষিণ দমদম পুরসভার অন্য কয়েকটি ওয়ার্ডেও ড্রোনের মাধ্যমে মশা মারার ওষুধ ছড়ানোর কাজ শুরু হল। সোমবার পুরসভার ২১ এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করে ওই কাজ হয়।

গত রবিবার দক্ষিণ দমদমের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে পচা ডোবা, জলাশয়, পরিত্যক্ত কারখানা, বাড়ি চিহ্নিত করে মশা মারার ওষুধ ছড়ানো হয়েছিল। সেই ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধি সুকান্ত সেনশর্মা জানিয়েছিলেন, প্রতি সপ্তাহের শনি এবং রবিবার এই কাজ করা হবে। ২১ এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ডের যে সব জায়গায় কাঁধে করে যন্ত্র নিয়ে গিয়ে ওষুধ দেওয়া যাচ্ছিল না, সোমবার ড্রোনের মাধ্যমে ওষুধ ছড়ানোর জন্য তেমন জায়গা বেছে নেওয়া হয় পুরসভার তরফে। এ দিকে, পুর প্রশাসনের পাশাপাশি ব্যারাকপুর কমিশনারেটের নাগেরবাজার ট্র্যাফিক গার্ডও ডেঙ্গি মোকাবিলায় পথে নেমেছে। তাদের তরফে পিছিয়ে পড়া শতাধিক বাসিন্দার হাতে মশারি, ব্লিচিং পাউডার তুলে দেওয়া হয়।

দক্ষিণ দমদম পুরসভা সূত্রের খবর, ডেঙ্গি এবং জ্বর মিলিয়ে গোটা পুর এলাকায় হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মশাবাহিত রোগে আট জনের মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যেই। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, অনেক দেরিতে ঘুম ভেঙেছে পুরসভার। সব ওয়ার্ডে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালিয়ে জমা জল রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপ করা প্রয়োজন। তা না হলে গত সপ্তাহের বৃষ্টির জল জমে থাকলে পুজোর মরসুমে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বাসিন্দাদের।

চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানান, পুরসভা লাগাতার কাজ করছে। ড্রোনের ব্যবহার নিয়ে আগেই পরিকল্পনা হয়েছিল। পুজোর আগে কোথাও জল জমেছে কি না, তা চিহ্নিত করে পদক্ষেপ করার কাজ শুরু হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ড্রোন ব্যবহার করায় কাজে গতি বাড়বে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE