প্রতীকী ছবি।
ডান অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি থেকে তাঁর পেটে তৈরি হয়েছিল দু’কেজির টিউমার। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও অস্ত্রোপচার করে সেই টিউমার বাদ দিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের জেনারেল সার্জারি এবং ইউরোলজি বিভাগের একদল চিকিৎসক।
চিকিৎসক-দলের তরফে জানানো হয়েছে, টিউমারটি ওই ব্যক্তির ডান কিডনি এবং তার শিরা, পিত্তথলি, পিত্তনালীকে চেপে দিয়ে লিভারের দেওয়াল ঘেঁষে বাড়ছিল। বিপজ্জনক ভাবে জড়িয়ে ছিল বিভিন্ন অঙ্গ এবং ধমনীকে। যার জন্য বাইরে থেকে বোঝা যায়নি এর উৎস। অস্ত্রোপচারের পরে চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন, অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির ক্যানসারে আক্রান্ত বিশ্বজিৎ সরকার নামে বছর তেতাল্লিশের ওই ব্যক্তি।
বিশ্বজিতের বাড়ি খড়দহে। পরিবার সূত্রের খবর, গত সেপ্টেম্বর থেকে মাঝেমধ্যে তাঁর জ্বর আসছিল। সঙ্গে পেটব্যথা। স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু করেছিলেন বিশ্বজিৎ। কাজ না-হওয়ায় জানুয়ারিতে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। একাধিক পরীক্ষায় জানা যায়, তিনি লিভারের ক্যানসারে আক্রান্ত। এর পরেই কোভিড-আবহে থমকে যায় তাঁর চিকিৎসা। মে মাসের গোড়ায় যখন এসএসকেএম হাসপাতালের জেনারেল সার্জারির বহির্বিভাগে আসেন বিশ্বিজিৎ, তখন তাঁর পেটের ডান দিক ফুলে অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে। সঙ্গে ছিল জ্বর এবং ওজন কমার সমস্যা। আরও কিছু পরীক্ষার পরে টিউমারের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
জেনারেল সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক বিতানকুমার চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সুনন্দ দে, পবন মণ্ডল, সৌরভ চক্রবর্তী এবং ইউরো-সার্জারি বিভাগের সন্দীপ গুপ্ত, পিনাকী রায় ও আকাশ আগরওয়াল চার ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে বার করেন ২৪/১৮/১৬ সেন্টিমিটারের টিউমারটি। কোভিড-সতর্কতায় রোগীর যাবতীয় পরীক্ষা করা হয়। চিকিৎসকেরাও বিশেষ পোশাক পরে অস্ত্রোপচার করেন। এর পরে পাঁচ দিন আইটিইউয়ে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয় রোগীকে। বর্তমানে জেনারেল বেডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বিশ্বজিৎকে। চিকিৎসকেরা জানান, বায়োপসি রিপোর্ট আসার পরেই তাঁর কেমোথেরাপি শুরু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy