— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
জলবায়ু পরিবর্তন তথা প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে আশঙ্কার কাঁটায় বিদ্ধ হচ্ছে কলকাতা। এই
পটভূমিতে সোমবার শহরের এক আলোচনাচক্র সুন্দরবনের ইতিহাস নিয়ে মাতল। বিশ শতকের গোড়ায় গোসাবায় জনবসতি বিস্তারে মাতেন স্কটিশ ব্যবসায়ী ড্যানিয়েল হ্যামিল্টন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধীর পরিচিত হ্যামিল্টনের সমবায় গড়ে গ্রাম পুনর্গঠনের বিবিধ সামাজিক নিরীক্ষা অনেকেরই জানা। এত দিন বাদে তাঁর লেখা ও বক্তৃতা সঙ্কলিত করে একটি বই প্রকাশিত হল। বইটির সম্পাদনায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা তথা রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের সভাপতি আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের প্রাক্তন সংস্কৃতি অধিকর্তা অনুপ মতিলাল। ‘কলকাতা লিটারারি মিট’-এর এ দিনের অনুষ্ঠানে সাহিত্যিক অমিতাভ ঘোষ বইটি প্রকাশ করেন।
সুন্দরবনের পটভূমিতে ‘দ্য হাংরি টাইড’-এর লেখক অমিতাভ হ্যামিল্টনের কাণ্ডকারখানাকে খোলা মনে দেখার কথা বলছিলেন। বাদাবন কেটে সুন্দরবনে বসতি স্থাপনের পরিণতিতেই প্রকৃতির কোপে অনেকের ‘ক্লাইমেট রিফিউজি’ হয়ে উদ্বাস্তু হওয়ার কথা মনে করালেন তিনি। হ্যামিল্টন-রচনার বইটির নাম ‘দ্য ফিলজ়ফার্স স্টোন’, তাঁরই একটি প্রবন্ধের শিরোনাম থেকে গৃহীত। সঞ্চালক, ইতিহাসবিদ জয়ন্ত সেনগুপ্ত দুই সম্পাদকের কাছেই হ্যামিল্টনের পরশমণির বিষয়ে জানতে চাইছিলেন।
আলাপনের চোখে হ্যামিল্টন দোষে-গুণে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’র হোসেন মিয়াঁর মতো একটি চরিত্র, যিনি নোয়াখালির সন্দ্বীপের চরের কাছে হতদরিদ্রদের স্বপ্নরাজ্যের স্বপ্ন দেখান। আর অনুপ বলছিলেন, ‘‘এ দেশে সমবায় ব্যবস্থার এক দিশারী হ্যামিল্টন। তবে রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীরও তাঁর বিষয়ে এক রকম মোহভঙ্গ হয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy