পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করল ব্যারাকপুর ও টিটাগড় পুরসভা।
বর্ষায় জল জমার সমস্যার কী ভাবে মোকাবিলা করা যাবে, তা নিয়ে রবিবার রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করল ব্যারাকপুর ও টিটাগড় পুরসভা।
ব্যারাকপুর এবং টিটাগড়― দুই পুরসভারই বেশ কিছু ওয়ার্ডে এই সমস্যা রয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষের যুক্তি, টিটাগড়ের নিকাশি ব্যবস্থা ব্রিটিশ আমলের। তা ছাড়া নিজস্ব আয়ের সীমাবদ্ধতা থাকায়, ইচ্ছে মতো নিকাশির কাজে শ্রমিক নিয়োগ করতে পারে না বলেই মত দুই পুরসভার। এই সব সমস্যা নিয়ে এ দিন দু’টি পুরসভার সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন মন্ত্রী।
ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী জানান, টিটাগড়ের ৪, ৯, ১০, ২০, ২১ নম্বর ওয়ার্ড এবং ব্যারাকপুরের ৭, ৮, ১৫, ১৬, ২২ ওয়ার্ডে জল জমে। ব্যারাকপুরের লালকুঠি, এস এন ব্যানার্জি রোডেও জল জমে। রাজ বলেন, “পুরমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি, দু’ভাগে কাজের পরিকল্পনা হয়েছে। টিটাগড়ের নিকাশি ব্যবস্থা উন্নত করতে জেটিং মেশিন কেনার চিন্তা হচ্ছে।”
টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী বলেন, “আমরা মন্ত্রীর কাছে ওই বিশেষ যন্ত্র চেয়ে আবেদন করেছি। এখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিকাশির কাজ হয় নর্দমা খুঁচিয়ে, পাম্প বসিয়ে জল বার করে।” ব্যারাকপুরের মতো টিটাগড়কেও পরিচ্ছন্ন গড়তে বৈঠকে আলোচনা হয়।
ব্যারাকপুরের চেয়ারম্যান উত্তম দাস জানান, নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়নে খসড়া প্রস্তাব তৈরি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ব্যারাকপুর ও টিটাগড়ের দু’টি ভাগাড় থেকে দূষণ ছড়ানোর সমস্যা নিয়েও বৈঠকে কথা হয়েছে। ব্যারাকপুরের শ্মশানে নতুন চুল্লি চালু এবং সেখানে দেহ সৎকারের সময়ে দুর্গন্ধ নিয়ে স্থানীয় মানুষের অভিযোগও মন্ত্রীর সামনে তুলে ধরা হয়।
মন্ত্রী বলেন, “দীর্ঘমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি এবং স্বল্পমেয়াদি—এই তিন ভাগে সব কাজ হবে। নিকাশি ছাড়াও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আর্থিক দিকটাও খতিয়ে দেখছি।” টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্ত হালিশহর ও অশোকনগর পুর এলাকা এ দিন পর্যবেক্ষণ করেন মন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy