নতুন অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের দাবি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অন্যান্যদের।
করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে কোন ওষুধ কাজ করবে, এখনও তার উত্তর পাননি বিজ্ঞানী-গবেষকেরা। বিভিন্ন ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। সংক্রমণের মাত্রাবিশেষে কোনও-কোনও ওষুধ প্রয়োগও করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে বিজ্ঞানী-গবেষকদের একাংশ জানাচ্ছেন, করোনা সংক্রমণের ওষুধ আবিষ্কারের পাশাপাশি অন্য অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়াটাও জরুরি। কারণ, বর্তমানে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার ফলে বেশির ভাগ জীবাণুই মাল্টি ড্রাগ রেজ়িস্ট্যান্ট (এমডিআর) হয়ে গিয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি দশ জনের এক জন রোগী হাসপাতালে থাকাকালীন সংক্রমিত হন। এই সংক্রমণের জন্য দায়ী জীবাণুর বেশির ভাগই অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি সংবেদনহীন হয়। ফলে সংক্রমণ রুখতে নতুন অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করাই একমাত্র পন্থা বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীদের একটি অংশ।
সম্প্রতি সেই সূত্র মেনেই একটি নতুন প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার করেছেন বলে দাবি করলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজির অধ্যাপক সুখেন্দু মণ্ডল, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপিকা পৃথীদিপা সাহু ও তাঁদের গবেষক ছাত্র পুলককুমার মাইতি ও সুজয়কুমার দাস। তাঁদের আবিষ্কার ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’ জার্নালে প্রকাশিতও হয়েছে। সুখেন্দুবাবু জানাচ্ছেন, ‘পিকোলিনামাইসিন’ নামের এই নতুন প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিকের মূল উপাদান তাঁরা কাশ্মীর-হিমালয়ের মাটিতে থাকা একটি ব্যাক্টিরিয়া থেকে পেয়েছেন। এটি সেপসিস, ব্যাক্টেরিয়াল মেনিনজ়াইটিস, নিউমোনিয়া, প্যারাটাইফয়েড, ফুসফুস এবং মূত্রনালী সংক্রান্ত সংক্রমণকারী জীবাণুকে প্রতিহত করতে সক্ষম বলে জানাচ্ছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy