Advertisement
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Kolkata Doctor Rape and Murder

‘বিকেল ৪টেয় ক্লাস শেষ, সেমিনার হলে তালা মেরে দেওয়া হয়’! খুললেন কে? আরজি করে উত্তর নেই

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত আরজি করের জরুরি বিভাগের সেমিনার হলে ক্লাস হয়েছিল। তার পর সেই ঘর তালাবন্ধ করে দেওয়া হয়। তার পর চাবি নিয়ে কে ঘর খুলেছিলেন, সেটাই এখন প্রশ্ন।

(বাঁ দিকে) আরজি করের নার্সিং সুপার কৃষ্ণা সাহা। সেমিনার হল (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) আরজি করের নার্সিং সুপার কৃষ্ণা সাহা। সেমিনার হল (ডান দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৪ ১৪:২৬
Share: Save:

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত আরজি করের জরুরি বিভাগের সেমিনার হলে ক্লাস হয়েছিল। তার পর সেই ঘর তালাবন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু ঘরের চাবি নির্দিষ্ট বাক্স থেকে সে দিন কেউ তুলে নিয়েছিলেন কি না, কেউ ঘর খুলেছিলেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। হাসপাতালের নার্সিং সুপার জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলে চিকিৎসকেরা কেউ কেউ বাক্স থেকে চাবি নিয়ে ঘর খুলতেন। কিন্তু সে দিন কেউ ওই ঘরের চাবি নিয়েছিলেন কি না, তা তিনি জানেন না। তাঁর বক্তব্যে বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনা পরম্পরা নিয়ে নতুন ধন্দ তৈরি হয়েছে। হাসপাতালের পালমোনারি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অরুনাভ দত্ত চৌধুরী বুধবার অধ্যক্ষ সুহৃতা পালের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, ক্লাস হয়ে যাওয়ার পর ঘরে তালা দিয়ে সেই চাবি সিস্টার ইনচার্জকে দিয়ে দেওয়াই হল নিয়ম। কিন্তু ঘটনার দিন আসলে কী হয়েছিল, তা কেউ বলতে পারছেন না। ফলে সেমিনার হলের তালা খুললেন কে, আরজি করে তার উত্তর মিলছে না।

নার্সিং সুপার কৃষ্ণা সাহা বুধবার বলেন, ‘‘সে দিন রাতে চারটি ওয়ার্ডে মোট চার জন নার্স ডিউটিতে ছিলেন। আমাকে মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা সেই তথ্য জানার জন্য ডেকেছিলেন। আমি তথ্য দিয়ে এসেছি। সেমিনার হলের চাবি একটি নির্দিষ্ট বাক্সে থাকে। আসলে সেটি চিকিৎসকদের ঘর। চাবি কেউ নিচ্ছেন কি না, আমরা নার্সরা তা বলতে পারব না। চিকিৎসকদের বলা থাকে, কেউ দরকারে চাবি নিলেও কাজ হয়ে গেলে আবার রেখে যাবেন। সেমিনার হলে চিকিৎসকেরা অনেকেই পড়াশোনা করেন। তাই ওই ঘরে রাতে যাতায়াত স্বাভাবিক। তবে চিকিৎসক ছাড়া অন্য কেউ চাবি নিতে পারবেন না। সেই রাতে কে চাবি নিয়েছিলেন, আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।’’

কেন সেমিনার হলে সিসিটিভি থাকে না? কৃষ্ণা বলেন, ‘‘এর আগে কখনও প্রয়োজন হয়নি। লিফ্‌টের সামনে যেখান দিয়ে সকলে ঢোকেন, সেখানে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। সেখান থেকে সেমিনার হল বেশ খানিকটা ভিতরে।’’ সেমিনার হলের কাছাকাছি কোনও নার্স থাকেন না বলেও জানান কৃষ্ণা। তাঁর কথায়, ‘‘সেমিনার হলের দিকে কোনও ওয়ার্ড নেই। তাই নার্সদের কারও ও দিকে যাওয়ার দরকার পড়ে না।’’

সেমিনার হলে রাতে কেউ থাকেন কি না, সেই প্রশ্নের উত্তরে মেডিসিন বিভাগের প্রধান অরুণাভ জানান, রাতে কেউ তালা খুলে থাকেন কি না, তা তিনি জানেন না। ঘটনার কথা শুক্রবার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে তিনি জানতে পারেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ দেখে আঁতকে ওঠেন।

সেমিনার হলের চাবি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে আরজি করে। সে রাতে ডিউটিতে থাকা চার জন নার্সকে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এখন বিষয়টি সিবিআইয়ের তদন্তাধীন। চাবি রহস্যের সমাধান তাঁরা করতে পারেন কি না, সেটাই দেখার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE