Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
atm

বহু গ্রাহকের তথ্য ডার্ক ওয়েবে পাচার? ব্যাঙ্ক থেকে টাকা গায়েবের আশঙ্কায় গোয়েন্দারা

অভিযুক্ত ধরা পড়লেও গ্রাহকদের টাকা ব্যাঙ্কে সুরক্ষিত রয়েছে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে গোয়েন্দারা।

প্রতীকী চিত্র। শাটারস্টক।

প্রতীকী চিত্র। শাটারস্টক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৫:১৫
Share: Save:

কলকাতার এটিএম জালিয়াতি-কাণ্ডের পান্ডা রোমানীয় প্রতারক ধরা পড়লেও, গ্রাহকদের সঞ্চিত অর্থ ব্যাঙ্কে কি সুরক্ষিত রয়েছে? সে বিষয়ে নিশ্চিত নন গোয়েন্দারা। কারণ, সম্প্রতি দিল্লি থেকে গ্রেফতার হওয়া সাইবার জালিয়াত সিলভিউ ফ্লোরিন স্পিরিডন গ্রাহকদের তথ্য ‘ডার্ক ওয়েবে’ বিক্রি করে দিয়েছেন বলেই মনে করছেন তাঁরা। ফলে অভিযুক্ত ধরা পড়লেও গ্রাহকদের টাকা ব্যাঙ্কে সুরক্ষিত রয়েছে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে গোয়েন্দারা।

আপাতত পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন সিলভিউ। তাঁকে জেরা করে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যের এটিএমে স্কিমার বসিয়ে গ্রাহকদের তথ্য হাতিয়েছেন তাঁরা। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, পরে সেই তথ্য ডার্ক ওয়েবে চড়া দামে বিক্রিও করেছেন সিলভিউরা। সেই তথ্যের সাহায্যে যে কোনও জায়গা থেকেই টাকা হাতিয়ে নিতে পারে সাইবার প্রতারকরা। লালবাজারে বসেই রোমানীয় ওই প্রতারক গোয়েন্দাদের সামনে, তাঁর হাতের কারসাজিও দেখান। কী ভাবে তাঁরা এটিএমে স্কিমার বসতেন, তথ্য হাতিয়ে কী ভাবে কার্ড ক্লোন করতেন— সে সবই গোয়েন্দাদের দেখান সিলভিউ। ডার্ক ওয়েবে যদি তথ্য বিক্রি করা হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে গ্রাহকদের টাকা অসুরক্ষিত হয়ে পড়েছে বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। তাই ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় এবং বেসরকারি ব্যাঙ্ককে সতর্ক করেছে কলকাতা পুলিশ।

ডার্ক ওয়েব কী? টর ব্রাউজারের মাধ্যমে নেট সার্ফিংয়ের এক বিশেষ ব্যবস্থা। এই বিশেষ ব্রাউজার ইউজারের আইপি (ইন্টারনেট প্রোটোকল) অ্যাড্রেস সেভ করে না। ফলে এক বার ‘লগ অফ’ করে দিলে ব্যবহারকারীর পরিচয় জানতে পারা প্রায় অসম্ভব। এক গোয়েন্দা আধিকারিক জানান, হোয়াইট ওয়েব অর্থাৎ গুগ্‌ল, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার গোটা নেট দুনিয়ার মাত্র পাঁচ শতাংশ। বাকি অংশটাকে বলা হয় ‘ডিপ ওয়েব’। এই ‘ডিপ ওয়েব’য়ের বেশিরভাগই কাজ হয় এই ‘ডার্ক ওয়েব’য়ে। ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে মাদক সংক্রান্ত জিনিসের পাশাপাশি বিভিন্ন তথ্য বিক্রি হয়। বেআইনি কাজকর্মই চলে এর মাধ্যমে।

আরও পড়ুন: পুরনো শত্রুতার জেরেই কি তবে খুন প্রৌঢ়াকে

২৩ লক্ষ গায়েব স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের প্রাক্তন কর্মীর

কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা এখন জানার চেষ্টা করছেন, যদি বিক্রি করা হয়ে থাকে, তা হলে কত জন গ্রাহকের তথ্য চলে গিয়েচে ডার্ক ওয়েবে। ভিন্‌ রাজ্যেও অপারেশন চালিয়েছেন সিলভিউরা। সে সব রাজ্য থেকেও তথ্য পাচার হয়েছে কি না তা জানারও চেষ্টা চলছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy