Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রচারই সার, মশাবাহিত রোগ নিয়ে বাড়েনি সচেতনতা

সল্টলেকের ৩ নম্বর সেক্টরে যেমন জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে তেমনই ২৮, ২৭, ২৬, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক জায়গায় মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে।

 বিধাননগরের বহু বাড়িতে মিলেছে জমা জল। ফাইল চিত্র

বিধাননগরের বহু বাড়িতে মিলেছে জমা জল। ফাইল চিত্র

কাজল গুপ্ত
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৫৮
Share: Save:

খোলা নর্দমা নেই, এলাকায় জল জমে নেই। অথচ মশার প্রকোপ বেড়েছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে জ্বর। রক্তপরীক্ষায় কারও ডেঙ্গি ধরা পড়ছে। কারও বা এনএস-১ পজিটিভ। এক মাসের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে কয়েক গুণ। কারণ অনুসন্ধানে গিয়ে পুরসভার হাতে এল সেই পুরনো তথ্য— সচেতনতার অভাব। সল্টলেক থেকে কেষ্টপুর বা মহিষবাথান, সর্বত্রই ছবিটা এক।

সল্টলেকের ৩ নম্বর সেক্টরে যেমন জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে তেমনই ২৮, ২৭, ২৬, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক জায়গায় মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। এই তথ্য স্বীকার করে নিয়েছে বিধাননগর পুরসভা। সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত প্রায় ১৪০ জন জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। অক্টোবরের শেষে সেই সংখ্যাটা ২০০। এই সংখ্যা বৃদ্ধির একটি কারণ পুজোর আগে ও পরে হওয়া বৃষ্টি। কিন্তু তার চেয়েও বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব নিয়ে চিন্তায় পুর প্রশাসন।

এক পুরকর্তা জানান, অর্জুনপুর পশ্চিমপাড়া, তারুলিয়া, মহিষবাথান, অরুণনগরে কারণ অনুসন্ধান করা হয়েছে। এলাকায় তেমন জল না জমে থাকলেও একাধিক বাড়ির ভিতরে জমা জল ও মশার লার্ভা মিলেছে। সূত্রের খবর, এই সব জায়গায় গত কয়েক বছরেও মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়েছিল। তখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি সচেতনতা বাড়াতেও কাজ চালিয়েছেন পুরকর্মীরা। হোর্ডিং, ব্যানার, পোস্টারের মাধ্যমেও প্রচার করা হয়েছে। অথচ তাতেও যে লাভ হয়নি, তার প্রমাণ মিলছে। পুরকর্মীদের একাংশের কথায়, পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতা বাড়াতে সময় লাগবে। কিন্তু সল্টলেকে বেশির ভাগ এলাকায় শিক্ষিত, সচেতন মানুষের বসবাস, সেখানেও একাধিক বাড়িতে এমন ছবি দেখা গিয়েছে।

তবে বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, শুধু তাঁদের উপরে দায় চাপালেই হবে না। এলাকা সাফাইয়ের ক্ষেত্রে পুরসভাকেও লাগাতার সচেষ্ট থাকতে হবে। পুরসভা সূত্রের খবর, আধিকারিকদের নিয়ে মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বেশ কিছু জায়গায় স্বাস্থ্য শিবির চালু করা হয়েছে। মেয়র পারিষদ

প্রণয় রায় জানান, পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর, পরিবেশ ও আবর্জনা অপসারণ দফতর একযোগে কাজ করছে। কিন্তু বছরভর সচেতন করার কাজ করা হলেও বাড়ির ভিতরে জমা জল ও লার্ভা মিলছে। তাই প্রচারে আরও জোর দেওয়া হচ্ছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Health Dengue Mosquito Bidhannagar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy