প্রতীকী ছবি।
এক মহিলাকে নির্যাতন ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে মঙ্গলবার তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে চিৎপুর থানার পুলিশ। মহিলার নাম লাবণি ভৌমিক। ২০০৭ সালে সাধন ভৌমিক নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সাধন পেশায় দাঁতের ডাক্তার। ওই দম্পতির ১২ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। চিৎপুরের বীরপাড়া লেনের একটি ফ্ল্যাটে তাঁরা থাকেন।
পুলিশের কাছে ওই মহিলা অভিযোগ করেছেন, বিয়ের পর থেকেই আরও পণের জন্য তাঁর স্বামী অত্যাচার চালাচ্ছেন। সাধন সোদপুর মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত। নিজের চেম্বার তৈরির টাকা দাবি করে স্ত্রীর উপরে তিনি নিয়মিত চাপ দিতেন বলে অভিযোগ। লাবণি জানিয়েছেন, ওই বাবদ সাধনকে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা ও কয়েক ভরি সোনার গয়না দিয়েছিলেন তিনি।
পুলিশ জানায়, মহিলার অভিযোগ, সম্প্রতি বিবাহ-বিচ্ছেদের জন্য চাপ দেওয়া শুরু করেন তাঁর স্বামী। তিনি রাজি না হওয়ায় তাঁর উপরে শারীরিক অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়ে। গত ১৪ ডিসেম্বর রাত আটটা নাগাদ সাধন বাড়ি ফিরে স্ত্রীর উপরে আচমকা চড়াও হন। অভিযোগ, লাবণিকে গলা টিপে খুনের চেষ্টাও করেন সাধন। যার জেরে সংজ্ঞা হারান লাবণি। কোনও ভাবে খবর পেয়ে তাঁর মা বীরপাড়া লেনের ফ্ল্যাটে আসেন এবং মেয়েকে নিয়ে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানে চিকিৎসা করিয়ে পরের দিন চিৎপুর থানায় অভিযোগ জানান মহিলা।
সাধনকে এ দিন শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হয়। সরকারি কৌঁসুলি অরূপ চক্রবর্তী আদালতে জানান, অভিযুক্ত কী কারণে তাঁর স্ত্রীকে খুন করতে গিয়েছিলেন এবং স্ত্রীর সোনার গয়না ও টাকা তিনি কোথায় রেখেছেন, এ সব জানতে তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জেরা করা দরকার। সরকারি কৌঁসুলি এ-ও জানান, এ দিন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন মহিলা। বিচারক ওই যুবককে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy