এ রকমই একটি দেহ ঘিরে তৈরি হল রহস্য। নিজস্ব চিত্র।
গলার নীচ থেকে পেট পর্যন্ত কাটা। সেই কাটা আবার জোড়া দেওয়া হয়েছে দক্ষ হাতে সেলাই করে। এ রকমই একটি দেহ ঘিরে তৈরি হল রহস্য। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা একটি মৃতদেহ দেখতে পান বাগবাজার ঘাটের কাছে পলিতে পড়ে থাকতে। মধ্য বয়সী পুরুষের নগ্নদেহ। গায়ে পলি শুকিয়ে সাদা হয়ে গিয়েছে।
দেহটি দেখেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। রিভার ট্রাফিক পুলিশ এবং উত্তর বন্দর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে দেহটি অনেকটাই পচে গিয়েছে। তার মধ্যে দেহে ওই সেলাই-এর চিহ্ন স্পষ্ট। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। এখনও পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি দেহটি।
এক তদন্তকারী বলেন, ‘‘গোটা দেহে যে ভাবে পলি লেগে রয়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে দেহটি জলে ফেলে দেওয়ার পর পলিতে আটকে গিয়েছিল।” তবে দেহটি কেন সেলাই করা তা নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ। এক তদন্তকারী বলেন, ‘‘হুগলি শিল্পাঞ্চলের কিছু অপরাধী আছে যারা খুন করে মৃতের গলা থেকে পেট পর্যন্ত এ ভাবে কেটে ইট বা পাথরের মতো ভারী কিছু ঢুকিয়ে দিয়ে সেলাই করে দেয়। তার পর দেহ জলে ফেলে। যাতে দেহ জলে ফুলে ভেসে না ওঠে। হুগলির এক সময়ের কুখ্যাত গ্যাংস্টার হুব্বা শ্যামল ওই কায়দাতেই খুন করত।
আরও পড়ুন: বাবা-মা, স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় যাবজ্জীবন
তবে তদন্তকারীদের সন্দেহ বাড়িয়েছে সেলাইয়ের ধরণ। এক তদন্তকারী বলেন, সেলাই-এর ধরণের সঙ্গে মিল রয়েছে চিকিৎসকদের সেলাইয়ের। সাধারণত অটোপ্সি সার্জেনরা দেহ ময়না তদন্তের পর যে ভাবে সেলাই করেন, তার সঙ্গে মিল রয়েছে দেহের সেলাইয়ের। উত্তর বন্দর থানার পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগও ঘটনার তদন্ত করছে এবং দেহটি শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। ময়না তদন্ত হওয়া কোনও দেহ হবার সম্ভবনাও উড়িয়ে দিতে পারছে না পুলিশ। ডিসি (বন্দর) সৈয়দ ওয়াকার রাজা বলেন, দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের পর বোঝা যাবে।
আরও পড়ুন- চাবি দিয়ে খুলতে হল স্ক্রিন ডোর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy