—ফাইল ছবি
একটি-দু’টি বা দশ-পঞ্চাশটি নয়। কলকাতার কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির হাতে এই মুহূর্তে জমে রয়েছে প্রায় ৯০০টি মামলার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ! সেই অবস্থায় ফের তারা সিঁথি-কাণ্ডের ফুটেজ নিতে চায়নি। যার জন্য এখনও তা পরীক্ষা করানো যায়নি। সিঁথি থানায় এক প্রৌঢ়ের মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়া তদন্ত-রিপোর্টে এমনই জানিয়েছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, বাজেয়াপ্ত হওয়া সিসি ক্যামেরার ছবি বিকল্প কোনও ফরেন্সিক পরীক্ষাগারে পাঠানো যেতে পারে। সে ব্যাপারে আদালতে আর্জি জানাবেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, সিসি ক্যামেরার ওই ফুটেজ আসল না কি সেটি বিকৃত করা হয়েছে, সেই পরীক্ষার জন্য সাইবার ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি প্রয়োজন। রাজ্যের ল্যাবরেটরিতে এই ফুটেজ পরীক্ষা হয় না। কলকাতার কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিও কাজের চাপ এবং পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে বলে নমুনা ফেরত পাঠিয়েছে। এ বার তা হায়দরাবাদ বা চণ্ডীগড়ের কেন্দ্রীয় ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হতে পারে।
গোয়েন্দাদের বক্তব্য, ইদানীং চুরি-ছিনতাইয়ের মতো ছোটখাটো ঘটনাতেও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ অপরিহার্য প্রমাণ হয়ে উঠেছে। তার ফলে নিত্যদিনই কোনও-না-কোনও ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করে ফরেন্সিকে পাঠানো হচ্ছে। এমনিতেই এই ধরনের পরীক্ষা সময়সাপেক্ষ। তার উপরে পরিকাঠামো দুর্বল হলে সেগুলি বিশ্লেষণ করতে আরও সময় লাগে।
সাইবার মামলার বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, বর্তমানে বিচারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বৈদ্যুতিন তথ্যপ্রমাণ। সাম্প্রতিক বিভিন্ন মামলায় এই ধরনের তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অপরাধ প্রমাণও হয়েছে। কিন্তু পরিকাঠামো ও লোকবলের অভাবে কখনও ফরেন্সিক রিপোর্ট আসতে দেরি হচ্ছে, কখনও আবার তথ্যপ্রমাণ পাঠাতে হচ্ছে ভিন্ রাজ্যে। যার জন্য দেরি হচ্ছে বিচারে। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে প্রয়োজন লোকবল বৃদ্ধি ও পরিকাঠামোর উন্নয়ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy