বাংলাদেশকে জেতালেন জাকের আলি। ছবি: ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ়।
এক দিনের সিরিজ় ০-৩ ব্যবধানে হারার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে য়েস্ট ইন্ডিজ়কে চুমকান করল বাংলাদেশ। কিংসটাউনে তৃতীয় ২০ ওভারের ম্যাচে লিটন দাসের দল জিতল ৮০ রানে। তবে এই ম্যাচে ঘটল এক মজার ঘটনা। রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যাওয়া বাংলাদেশের জাকের আলিকে আবার ব্যাট করার জন্য ডেকে আনলেন তৃতীয় আম্পায়ার।
ঘটনাটি বাংলাদেশের ইনিংসের ১৫তম ওভারের। রোস্টন চেজের বল মিড উইকেটে ঠেকে দ্রুত রান নেওয়ার জন্য দৌড়ন জাকের। সতীর্থ শামিম হোসেনকে ২ রান নেওয়ার জন্য বলেন। কারণ, বলের কাছাকাছি ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের কোনও ফিল্ডার ছিলেন না। উইকেটরক্ষক নিকোলাস পুরানই দৌড়ে যান ফিল্ডিং করার জন্য। প্রথম রান দ্রুত সম্পূর্ণ করে দ্বিতীয় রানের জন্য দৌড়তে শুরু করেন জাকের। পুরান বল ধরে ফেলেছেন দেখে শামিম দ্বিতীয় রানের জন্য দু’তিন পা এগিয়েও ফিরে আসেন। ফলে বাংলাদেশের দুই ব্যাটারই পিচের এক দিকে হয়ে যান। ঠান্ডা মাথায় পুরান বল নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা বোলার চেজকে। তিন বল দিয়ে উইকেট ভেঙে দেন। রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান জাকের।
পরে টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা যায় তিনি আউট হননি। কারণ চেজের উইকেট ভাঙার সময় পিচের অন্য প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন জাকের। তবে রান না নিয়ে পিছিয়ে যাওয়া শামিম তখনও পপিং ক্রিজ়ের বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁর ব্যাট লাইনের ভিতরে থাকলেও মাটিতে স্পর্শ করে ছিল না। ব্যাট শূন্যে এবং পা পপিং ক্রিজ়ের বাইরে থাকায় আউট হয়ে যান শামিম। তত ক্ষণে সাজঘরে ফিরে যাওয়া জাকেরকে মাঠে ফিরে আনতে উদ্যোগী হন তৃতীয় আম্পায়ার। তিনি বাংলাদেশের সাজঘরে গিয়ে তাঁকে আবার ব্যাট করতে যাওয়ার অনুরোধ করেন।
এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ করে ৭ উইকেটে ১৮৯ রান। মূলত জাকেরের ৪১ বলে ৭২ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ। ৩টি চার এবং ৬টি ছক্কা মারেন জাকের। এই ম্যাচেও রান পেলেন না অধিনায়ক লিটন (১৪)। অন্য ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন করেন ২১ বলে ৩৯। ৪টি চার এবং ২টি ছয় মারেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের সফলতম বোলার রোমারিও শেফার্ড ৩০ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৬.৪ ওভারে ১০৯ রানেই শেষ হয়ে যায় আয়োজকদের ইনিংস। জনসন চার্লস (১৮ বলে ২৩) এবং শেফার্ড (২৭ বলে ৩৩) ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের কোনও ব্যাটারই বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ সামলাতে পারেননি। ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন। ১৩ রানে ২ উইকেট মেহদি হাসানের। ৩০ রানে ২ উইকেট তাসকিন আহমেদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy