প্রতীকী ছবি।
রক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে দু’-দু’বার পালিয়ে গিয়েছিল সে। প্রথম বার কলকাতায়, দ্বিতীয় বার বিহারে। বেলেঘাটায় এক আইনজীবীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় নাম জড়ানো সেই অভিযুক্তের গুলিবিদ্ধ দেহ মিলল বিহারে। লালবাজার জানিয়েছে, মৃতের নাম রাজকুমার রায় ওরফে নীরজ। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে, বিহারের মোতিহারিতে। নীরজের দেহে একাধিক বুলেটের ক্ষত মিলেছে বলে সূত্র মারফত গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। তবে ঠিক কী ভাবে ওই অভিযুক্ত গুলিবিদ্ধ হল, তা জানতে বিহার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে লালবাজার।
গত জানুয়ারি মাসে বেলেঘাটায় এক আইনজীবীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তদন্তে নেমে লালবাজারের গোয়েন্দারা বিহার থেকে নীরজ-সহ একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কলকাতায় নিয়ে আসে। মোট ন’জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ।
পুলিশি সূত্রের খবর, জেল হেফাজতে থাকার সময়ে গত ১ জুন নীরজকে পায়ের চিকিৎসার জন্য জেলের সুপারিশে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কারারক্ষীদের অসর্তকতার সুযোগ নিয়ে সে ওই দিনই পালিয়ে যায় হাসপাতাল থেকে। যা নিয়ে ভবানীপুর থানায় একটি মামলা দায়েরকরে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৭ অগস্ট বিহারের পূর্ব চম্পারন জেলার একটি জায়গা থেকে নীরজকে ফেরগ্রেফতার করা হয়। সেখানকার স্থানীয় থানার সাহায্য নিয়ে তাকে পাকড়াও করেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। তবে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও লালবাজার তাকে হেফাজতে পায়নি। কলকাতা থেকে বিহারে পালিয়ে গিয়ে সেখানে ফের একটি ব্যাঙ্ক ডাকাতি করেছিল নীরজ। সেই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে লালবাজারের বদলে বিহার পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। এক পুলিশকর্তা জানান, বিহার পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন গত ১৮ অগস্ট অসুস্থ বোধ করায় মোতিহারির সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় নীরজকে। নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে সেখান থেকেও হাতকড়া ভেঙে ফের পালিয়ে যায় সে। এর পর থেকে নীরজ বেপাত্তা ছিল।
পুলিশি সূত্রের খবর, সাহেবগঞ্জের বাসিন্দা ওই দুষ্কৃতীকে রবিবার রাতে বিহারের মোতিহারির মধুবনীতে রাস্তার পাশে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন সেখানকার বাসিন্দারা। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিক ভাবে লালবাজার বিহার পুলিশের কাছ থেকে জানতে পেরেছে, নীরজের দেহে তিনটি গুলি লেগেছিল। তবে কে তাকে খুন করল, তা পরিষ্কার নয় কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীদের কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy