ছবি প্রতীকী
মাঝে প্রকোপ বেশ খানিকটা কমেছিল। কিন্তু, গত এক সপ্তাহে ফের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে উত্তর দমদম পুর এলাকায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার পাশাপাশি যে সব ওয়ার্ডে সংক্রমণ বেশি ছড়াচ্ছে, সেখানে শিবির করে প্রতিষেধক দেওয়ার উপরে জোর বাড়াতে চলেছে পুরসভা।
বৃহস্পতিবার এ কথা জানান উত্তর দমদম পুরসভার মুখ্য প্রশাসক বিধান বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘গত এক সপ্তাহে দৈনিক ৭-৮ জন করে সংক্রমিত হয়েছেন বলে রিপোর্ট এসেছে। প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, সংক্রমিত এলাকায় শিবির করে বাসিন্দাদের প্রতিষেধক দেওয়ার উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, কিছু দিন আগে পর্যন্ত দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা তিন-চারের মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে তা বেড়ে দৈনিক ৭-৮ জন হয়েছে। সে কারণে সংক্রমিত এলাকায় মাইক্রো-কন্টেনমেন্ট জ়োন করা হচ্ছে। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ১১, ১২ এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ডের পাশাপাশি দুর্গানগর এলাকায় সম্প্রতি সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে বলে রিপোর্ট এসেছে। সে কারণে ওই এলাকাগুলিতে সচেতনতার প্রচারে জোর দেওয়া ছাড়াও প্রতিষেধক প্রদানে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে দৈনিক পাঁচটি জায়গা থেকে প্রায় চার হাজার বাসিন্দাকে প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে মাস্ক পরা, দূরত্ব-বিধি মেনে চলা এবং জমায়েত নিয়ন্ত্রণে।
যদিও বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, পুর এলাকার অনেক জায়গায় এখনও লোকজন মাস্ক ছাড়া ঘুরছেন। বিশেষত পাড়ার অলিগলিতে আড্ডায়, দোকান-বাজারে বিধি না মানার ছবি দেখা যাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে পুরসভা জানাচ্ছে, করোনা-বিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে আগের চেয়ে বেশি সচেতন হয়েছেন মানুষ। কিন্তু তা-ও নাগরিকদের একাংশের হুঁশ ফিরছে না। ইতিমধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের তরফে রেল স্টেশন এবং বাজার এলাকায় ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরসভা জানিয়েছে, এত কিছু সত্ত্বেও বিধি না মানলে দরকারে কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy