প্রতীকী ছবি।
মণ্ডপে আসা দর্শনার্থী, স্থানীয় বাসিন্দা এবং পুজো পরিচালনায় যুক্ত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে এই মুহূর্তে চিন্তিত সকলেই। আপাতত সরকারি নির্দেশিকার জন্যে অপেক্ষা করছেন উদ্যোক্তারা।
তবে বন্ধ নেই সল্টলেকে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি। যদিও এ বারের ভাবনার মূল লক্ষ্য, নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখা কী কী উপায়ে সম্ভব। কোনও পুজো কমিটি মণ্ডপ চত্বর জীবাণুমুক্ত করতে প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছেন, কেউ বা স্প্রে বা স্যানিটাইজ়ার টানেল বসানোর পরিকল্পনা করেছেন।
সল্টলেকের এ কে ব্লকের পুজোয় প্রতিবার লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয়। ওই পুজোর উদ্যোক্তাদের অন্যতম রাজা বণিক জানান, প্রবেশপথ থেকে মণ্ডপ পর্যন্ত এটিএম সদৃশ একাধিক যন্ত্র বসানো হবে। যেখানে হাত রাখলে জীবাণুমুক্ত হবে।
এ ছাড়া হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকবে। মাস্কও রাখা থাকবে। কেউ মাস্ক না-পরে এলে তাঁদের তা দেওয়া হবে। থাকবে সি সি ক্যামেরার নজরদারি। সরকারি নির্দেশিকা মেনে নির্দিষ্ট লোককে মণ্ডপে ঢুকতে দেওয়া হবে। একটি বেসরকারি সংস্থার সাহায্যে তা কার্যকর হবে।
দর্শনার্থীদের রাশ নিয়ন্ত্রণে প্রবেশপথে নির্দিষ্ট সংখ্যক কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে এফ ডি ব্লক। অন্যতম উদ্যোক্তা তথা বিধাননগর পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, স্যানিটাইজ়ার টানেলের ব্যবস্থা করা হবে। মূল মণ্ডপ কিছু সময় অন্তর স্প্রে বা ধোঁয়া দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা হবে।
সল্টলেকের বিভিন্ন পুজোর বিশেষত্বই হল সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ বারেও হবে, তবে শিল্পীরা বাড়ি থেকেই অনুষ্ঠান করবেন। অনলাইনে সেই অনুষ্ঠান দেখা যাবে। আবার এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমেও তা দেখানো হবে। এই পুর এলাকার দুর্গাপুজোর আরও একটি বৈশিষ্ট্য পুজোর ক’দিন এলাকাবাসীর এক সঙ্গে বসে খাওয়া। এ বার স্বাস্থ্য-বিধি মেনে প্যাকেটে খাবার দেওয়া হবে। পুজো প্রাঙ্গণে এ বারেও খাবার দোকান বসবে। অবশ্যই তা নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে, জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। সেই সঙ্গে প্যাকেটে খাবার বিক্রি করতে হবে। দাঁড়িয়ে খাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে না।
বি জে ব্লক পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা উমাশঙ্কর ঘোষদস্তিদার জানান, মূল মণ্ডপে অর্থাৎ প্রতিমার সামনে পুরোহিত ও পুজো পরিচালনাকারীরা ছাড়া কাউকে উঠতে দেওয়া হবে না। এলইডি স্ক্রিন লাগানো হবে। সেখানেই দেখে ও মন্ত্র শুনে অঞ্জলি দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। তার আগে একটি টানেলের মধ্যে দিয়ে মণ্ডপের নির্দিষ্ট পরিধি পর্যন্ত দর্শনার্থীদের যেতে দেওয়া হবে। মাস্কও থাকবে। কারণ, মাস্ক ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
তবে সল্টলেকের বাকি পুজোর উদ্যোক্তারা স্বাস্থ্য-বিধি মেনে এমন পথেই হাঁটবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy