কলকাতা বিমানবন্দর।
চামড়ার বেল্ট-এর ধাতব বাক্ল। তার ভিতরে লুকনো ছিল সোনার টুকরো। যাত্রী ভেবেছিলেন, ধাতব পাত থাকায় মেটাল ডিটেক্টরে শব্দ হলেও সন্দেহ হবে না নিরাপত্তারক্ষীদের। কিন্তু তাঁর হাত ব্যাগে আরও তিনটি বেল্টের বাক্লেও সোনা লুকনো ছিল। এক্স-রে যন্ত্রে সোনার রং কালো দেখায়। হাত ব্যাগের এক্স-রে দেখেই সন্দেহ হয় রক্ষীদের। তল্লাশিতে বেরিয়ে পড়ে সোনা। হাত ব্যাগে রাখা জিন্সের প্যান্টের চামড়ার লোগোর পিছনেও মেলে সোনার টুকরো।
বুধবার সকালে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা রামচন্দ্র ভগবানদাস কুকরেজা নামে ওই যাত্রীকে নিয়ে দীর্ঘ নাটক চলে কলকাতা বিমানবন্দরে। তিনি ভোরে ব্যাঙ্কক থেকে এসেছিলেন। প্রথমে সন্দেহ হয়নি শুল্ক অফিসারদের। কিন্তু কলকাতা থেকে মুম্বই যাওয়ার উড়ানে ওঠার সময়ে বেল্ট থেকে সমস্যার সূত্রপাত।
সিআইএসএফ-এর অফিসারেরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানতে পারেন, রামচন্দ্রের সঙ্গে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী স্নেহা। রামচন্দ্রকে আটক করার সময়ে তিনি টার্মিনালের ভিতরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। রামচন্দ্র নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে গেলে তাঁর ঢোকার কথা ছিল। স্নেহাকে তল্লাশি করে অবশ্য সোনা পাওয়া যায়নি।
তাঁদের দু’টি বড় ব্যাগ তত ক্ষণে তুলে দেওয়া হয়েছিল মুম্বইগামী বিমানে। সেগুলি ব্যাঙ্কক থেকে সরাসরি মুম্বই পর্যন্ত বুক করা হয়েছিল। ব্যাগ নামিয়ে সব জিনিস এক্স-রে করা হলে দেখা যায়, হাত ঘড়ি এবং আঠার টিউবের সঙ্গে কালো টেপ দিয়ে আটকানো রয়েছে সোনা। সব মিলিয়ে উদ্ধার হয় ৩৩৫ গ্রাম সোনা।
দম্পতির পাসপোর্ট পরীক্ষা কর দেখা গিয়েছে, তাঁরা প্রায়ই কলকাতা থেকে ব্যাঙ্কক যাতায়াত করেন। শুল্ক অফিসারদের সন্দেহ, এর আগেও তাঁরা এ ভাবে লুকিয়ে সোনা নিয়ে এসেছেন। কুকরেজা পরিবারকে সোনা সহ বুধবার রাতে তুলে দেওয়া হয় শুল্ক দফতরের হাতে। নিয়ম অনুযায়ী, একজন যাত্রীর কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা মূল্যের কম চোরাই সোনা পাওয়া গেলে সেই সোনা বাজেয়াপ্ত করে যাত্রীকে ছেড়ে দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে দুই যাত্রীর কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত সোনার বাজারদর ১৪ লক্ষ টাকারও কম। ফলে, সোনা বাজেয়াপ্ত করে তাঁদের বৃহস্পতিবার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy