প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন ‘স্পর্শকাতর’ এলাকাকে চিহ্নিত করে ব্যারিকেড করে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই এলাকার সঙ্গে বাইরের যাতায়াত। বাইরে থেকে যেমন সেখানে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, তেমনই বাসিন্দাদেরও বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে কী ভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস, ওষুধের জোগান বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছবে? সেই সমস্যার সমাধানে ভবানীপুর থানার পদ্মপুকুর এবং বকুলবাগান লেনের স্পর্শকাতর এলাকার বাসিন্দা এবং স্থানীয় পুর প্রতিনিধিদের নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চালু করেছে কলকাতা পুলিশ। পাশাপাশি সংক্রমণ এড়াতে সিল করে দেওয়া টালিগঞ্জ থানার অন্তর্গত মুদিয়ালির এস আর দাস রোডের বাসিন্দাদের নিয়েও একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছে সংশ্লিষ্ট থানা।
লালবাজার সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকেল থেকে ওই গ্রুপ দু’টি চালু হয়েছে। প্রথম গ্রুপটিতে প্রতি আবাসন বা বাড়ি থেকে এক জন করে মোট ৩২ জন প্রতিনিধিকে রাখা হয়েছে। প্রতিনিধিদের মারফত এলাকার প্রায় আড়াইশো বাসিন্দা তাঁদের প্রয়োজনীয় জিনিসের কথা ওই গ্রুপে লিখলে ভবানীপুর থানার পুলিশ সে সব পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। দ্বিতীয় গ্রুপটিও একই ভাবে তৈরি হয়েছে। তবে তা তুলনায় ছোট।
যেমন, শুক্রবার রাতেই ভবানীপুর থানার ওই গ্রুপের দুই প্রতিনিধিকে দু’জন বাসিন্দা নির্দিষ্ট ওষুধের প্রয়োজনীয়তার কথা জানান। সেই মতো চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন গ্রুপে তাঁরা দেন। ওষুধের দোকানের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাতেই পুলিশ তা বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। পুলিশের তরফে শনিবার ওই গ্রুপে মুদির দোকানের ফোন নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই নম্বরে যোগাযোগ করলে সেই দোকানের প্রতিনিধি জিনিস নিয়ে ব্যারিকেডের ধারে পৌঁছে যাচ্ছেন। সেখান থেকেই তা সংগ্রহ করছেন বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: অনলাইনে ফাঁদ পেতে প্রতারণা ঘরবন্দি মানুষকে
লালবাজারের এক পুলিশকর্তা জানান, আশপাশে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়, তাই স্পর্শকাতর এলাকা পৃথক করা হয়েছে। ওই দু’টি ক্ষেত্রেই ঘেরা অংশের মধ্যে কোনও মুদি, ওষুধ বা রেশনের দোকান নেই। ফলে বাসিন্দাদের সমস্যা হতে পারে ভেবেই ওই গ্রুপ দু’টি তৈরি করা হয়েছে। অন্য স্পর্শকাতর এলাকায় ওই ব্যবস্থা চালু না থাকলেও পুলিশকে বাসিন্দারা কোনও জিনিস এনে দেওয়ার অনুরোধ করলে সাহায্য করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তবে লালবাজার সূত্রের খবর, বেশ কিছু স্পর্শকাতর এলাকার ব্যারিকেড করা অংশেই রয়েছে মুদি, ওষুধ এমনকি রেশনের দোকান। সেগুলি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খুলে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও ভাবেই স্পর্শকাতর এলাকার ওই ঘেরাটোপের বাইরে বাসিন্দাদের যেতে দেওয়া হবে না বলে লালবাজার জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘তালাবন্দি’ সিন্ধিয়ার ভবিষ্যৎও
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy