—ফাইল চিত্র।
লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে বন্ধই রয়েছে নিউ মার্কেট, গড়িয়াহাট বাজার, ভিআইপি বাজার, এন্টালি মার্কেট-সহ কলকাতা পুরসভার অধীনস্থ ৪৬টি বাজার। আগামী ১ জুন, সোমবার সেগুলি খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে শর্তসাপেক্ষে। পুরসভার নির্দেশ, বাজার খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত। তার পরেই বাজারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, মার্চের শেষ সপ্তাহে দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা হতেই বন্ধ হয় কলকাতার সব বাজার এবং শপিং মল। পরবর্তীকালে নিত্য প্রয়োজনীয় হিসেবে আনাজ এবং মুদির দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও বাকি সব দোকান (নন-এসেনশিয়াল) বন্ধই রাখা হয়। গত ১৮ মে রাজ্যের মুখ্যসচিবের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে শহরকে করোনার আবহে ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’ জ়োনে ভাগ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এ’ জ়োন অর্থাৎ সংক্রমিত জ়োনে কোনও দোকান খোলা যাবে না। ‘বি’ অর্থাৎ বাফার জ়োনে একটি বাজারের মধ্যে থাকা নন-এসেনশিয়াল দোকানের ২৫ শতাংশ খোলা যাবে। আর ‘সি’ (ক্লিন জ়োন) জ়োনে খোলা যাবে সব দোকান।
পুরসভা সূত্রের খবর, পুলিশ এবং স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে বৈঠকের পরেই কোন কোন বাজার খোলা হবে তার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুর বাজারগুলি আপাতত ‘ক্লিন জ়োনে’ রয়েছে বলে খবর। তবে যদি দেখা যায় বিশেষ কোনও বাজারের কাছে করোনা সংক্রমণের খবর মিলেছে, তা হলে সেই বাজার আবার বন্ধ করে দেওয়া হবে। ‘বাফার জ়োন’-এর ক্ষেত্রেও দেখা হচ্ছে, করোনা সংক্রমিত এলাকা থেকে সংশ্লিষ্ট বাজার কত দূরে রয়েছে।
পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা বাজার দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আমিরুউদ্দিন ববি জানান, মুখ্যসচিবের নির্দেশ মাথায় রেখেই পুর প্রশাসন সব বাজারে নোটিস পাঠিয়েছে। বলা হয়েছে, বাজারে নিয়মিত জীবাণুনাশক ছড়াতে হবে। বড় দোকানে পাঁচ জন ও ছোট দোকানে দু’জনের বেশি ক্রেতাকে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। দোকানদার ও কর্মীদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। রাখতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার।
বাজার দফতরের এক আধিকারিক জানান, মুখ্যসচিবের নির্দেশে বলা হয়েছে, নিত্য প্রয়োজনীয় নয় এমন জিনিস সন্ধ্যা সাতটার পর থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত বিক্রি করা যাবে না। বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে যাতে দোকান বন্ধ হয়, তা দেখতে বলা হয়েছে প্রতিটি বাজার কমিটিকে। দোকান বন্ধ হওয়ার পরে বাজার এলাকায় কোনও দোকানদারকে থাকতে দেওয়া হবে না।
এ দিকে, এই পুর বাজারগুলি খোলার খবর পৌঁছে গিয়েছে স্থানীয় দোকানদারদের কাছে। নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রাজীব সিংহ জানান, খোলার আগে বাজার জীবাণুমুক্ত করা হবে। লেক মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে ভোলা সাহা বলেন, ‘‘আনাজ ও মুদির দোকান আগেই খুলেছিল। এ বার আরও কিছু দোকান খুলবে। তবে যে ব্যবসায়ীরা দূরে থাকেন, তাঁরা এখনই আসতে পারছেন না।’’ কাঁকুড়গাছির ভিআইপি বাজার এবং এন্টালি মার্কেটের কিছু দোকান ইতিমধ্যেই খুলে গিয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। আগামী সোমবারের মধ্যে বাকি দোকানও খুলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy