Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

বেসরকারি বাস কি চালানো যাবে বিধি মেনে?

এ রাজ্যে লকডাউন না উঠলেও বিধিনিষেধ মেনে সংক্রমণহীন এলাকায় বাস চালানোর অনুমতি দেওয়ার কথা বুধবার নবান্নে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

ফিরোজ ইসলাম
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২০ ০৫:১১
Share: Save:

এক মাসের বেশি লকডাউন জারি থাকায় বেসরকারি বাসের কর্মী ও মালিকদের আর্থিক অবস্থা নড়বড়ে। বসে যাওয়া বাসগুলির ঋণের কিস্তি মেটানোর পাশাপাশি যন্ত্রাংশ মেরামতির ধাক্কাও চাপছে। কোনও ক্ষেত্রে বাকি পথকর এবং বিমার টাকা। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণজনিত সতর্কতা মেনে বাস আদৌ রাস্তায় নামানো যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান বেসরকারি বাসমালিকদের অনেকেই। কারণ, সীমিত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে কী ভাবে খরচ তোলা যাবে তা স্পষ্ট নয় কারও কাছে।

এ রাজ্যে লকডাউন না উঠলেও বিধিনিষেধ মেনে সংক্রমণহীন এলাকায় বাস চালানোর অনুমতি দেওয়ার কথা বুধবার নবান্নে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দূরত্ব-বিধি মেনে বসা সর্বাধিক ২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর কথা এ দিন বলেন তিনি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ীও একই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন।

ডিজেলের দাম, রক্ষণাবেক্ষণের খরচ এবং কর্মীদের প্রাপ্য মিটিয়ে বাস চালানোর খরচ এ ভাবে উঠবে না বলে মনে করছেন একাধিক বাসমালিক সংগঠনের কর্তারা। ‘জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটস’-এর সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এত দিন বাস বন্ধ থাকায় চাকা, ব্যাটারি-সহ একাধিক যন্ত্রাংশের ক্ষতি হয়েছে। বাস সচল করতে প্রথমেই কয়েক হাজার টাকা খরচ হবে। তার উপরে সীমিত এলাকায় হাতে গোনা যাত্রী নিয়ে পরিষেবা দিলে খরচ তোলাই সম্ভব হবে না। ফলে মালিকদের এগিয়ে আসার সম্ভাবনা নেই বলে দাবি তাঁর। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে এটাই হয়তো বাস্তব। তবে ভাড়া পুনর্বিন্যাস না করলে কেউ পরিষেবা দিতে চাইবেন না।’’

‘অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত। তবে যেখানে একটি বাসে গড়ে ৪০-৪৫ জন বসেন, সেখানে অর্ধেক যাত্রী তুলে খরচ ওঠানো মুশকিল।’’ বিকল্প হিসেবে তাঁর প্রস্তাব, মালিকদের থেকে বাস সাময়িক ভাবে নিয়ে সরকার চালাতে পারে।

লকডাউন শুরুর পরে শহরে হাতে গোনা ৬-৭টি রুটে জরুরি পরিষেবা দিতে সরকারি বাস চলছে। সে ক্ষেত্রেও সর্বাধিক ২০ জন যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। করোনা আবহে লকডাউন শুরুর আগেই যাত্রীদের ভিড় কমাতে রাজ্য পরিবহণ নিগম এবং দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগম বাসের সংখ্যা বাড়িয়েছিল। ফলে ক্ষতি স্বীকার করে যাবতীয় সতর্কতা নিয়ে যাত্রী স্বার্থে জরুরি পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে আরও কড়া বিধিনিষেধ মেনে কী ভাবে পরিষেবা দেওয়া যাবে তা স্পষ্ট নয় সরকারি আধিকারিকদের কাছে। যদিও সরকারি নির্দেশ পেলে পরিষেবা দিতে বাধ্য তাঁরা। কারণ, পরিষেবা চালু করতে সরকারি পরিবহণকেই বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে বলে মত তাঁদের।

আরও পড়ুন: লকডাউনে হাতে নেই বই, সমস্যায় পড়ুয়ারা

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেনআপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy