প্রতীকী ছবি।
রাস্তার ধারে কলকাতা পুরসভার পানীয় জলের স্ট্যান্ডপোস্ট থেকে জল নেওয়ার সময়ে ভিড় জমে গেলেই দ্রুত তা সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে কাউন্সিলরদের। পুরসভার ১০ নম্বর বরোর অন্তর্গত বিভিন্ন ওয়ার্ডে এই ব্যাপারে নজরদারি চালাতে কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিয়েছেন বরো কর্তৃপক্ষ।
১০ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তপন দাশগুপ্ত বলেন, “কোথাও যাতে ভিড় না জমে, তা নিশ্চিত করতে দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেক কাউন্সিলর কাজ করছেন। কিন্তু রাস্তার কল থেকে পানীয় জল নেওয়ার সময়ে ভিড় হওয়ার একটা আশঙ্কা থেকেই যায়। এ ব্যাপারে তাঁদের নজরদারি চালাতে বলেছি।” তাঁর ওয়ার্ডে (৯৫) জলের লাইনে বেশি লোক দেখলেই তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তপনবাবু। জল নেওয়ার জায়গায় ভিড় না বাড়িয়ে সকলেই যাতে এক জন এক জন করে জল নিয়ে যান, সে ব্যাপারে এলাকায় প্রচারও চালানো হচ্ছে বলে তপনবাবু জানান।
পুরসভার জল সরবরাহ দফতর সূত্রের খবর, ১০ নম্বর বরো ও তার সংলগ্ন কিছু এলাকায় গভীর নলকূপের জল ব্যবহার করা হয়। এই জায়গাগুলি হল: যোধপুর পার্ক, যাদবপুর, টালিগঞ্জের একাংশ, বাঘা যতীন এবং গড়িয়ার বেশ কিছু এলাকা। সম্প্রতি কিছু কিছু জায়গায় পুরসভা পরিস্রুত মিষ্টি পানীয় জল সরবরাহ করা শুরু করলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ।
ফলে অনেক ক্ষেত্রেই বাসিন্দারা রাস্তার কল থেকে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে পুরসভার সরবরাহ করা পানীয় জল নিতে বাধ্য হন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভিড় এড়ানোর জন্য বাসিন্দারা অনেকেই আরও বেশি সংখ্যক স্ট্যান্ডপোস্ট তৈরির আবেদন জানিয়েছিলেন পুরসভার কাছে। কিন্তু জল সরবরাহ দফতরের আধিকারিকেরা জানান, প্রযুক্তিগত কারণে তা করা সম্ভব নয়। কারণ, স্ট্যান্ডপোস্টের সংখ্যা বাড়লে জলের চাপ কমে যাবে। তাঁদের বক্তব্য, ওই সমস্ত এলাকায় গভীর নলকূপের জল ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি, পুরসভা মিষ্টি জলও সরবরাহ করে। আর আগের থেকে তার পরিমাণও অনেকে বেড়েছে।
৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, আরএসপি-র দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, “এলাকার জলের পাইপে সমস্যা রয়েছে। মেরামতি প্রয়োজন। কিন্তু লকডাউনের জন্য তা এখনই করা যাচ্ছে না। ফলে বাইরের কল থেকেই জল আনার প্রবণতা বাড়ছে।” তিনি জানান, কলের সামনে কোনও ভাবেই যাতে ভিড় না হয়, তার জন্য ট্যাঙ্কার এনে জল দেওয়া হতে পারে বলে পুরসভা জানিয়েছে। ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর রিঙ্কু নস্কর জানান, গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই জলকষ্ট শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে জলের লাইনে যাতে ভিড় না হয়, সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy