প্রতীকী ছবি।
শহরে ফের বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। যা দেখে কলকাতা পুরসভা জানিয়েছিল, শীঘ্রই দু’টি সেফ হোম ও একটি কোয়রান্টিন সেন্টার চালু করা হবে। এ কথা জানিয়েছিলেন পুর স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত, প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ। কিন্তু দিন সাতেকের মধ্যেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল পুরসভা। বৃহস্পতিবার তারা জানিয়ে দিল, আপাতত কোনও সেফ হোম বা কোয়রান্টিন সেন্টার চালু করা হচ্ছে না।
কেন এমন সিদ্ধান্ত?
পুরসভার যুক্তি, এই মুহূর্তে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। পুজোর পরে ক’দিন করোনার লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী হতে দেখে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে, গত ক’দিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ২০০ থেকে ২৮০-র মধ্যে ওঠানামা করেছে। এক পুরকর্তা বলেন, ‘‘পরিস্থিতি ততটা উদ্বেগের নয়। তাই এই মুহূর্তে সেফ হোম বা কোয়রান্টিন সেন্টার চালু করা হচ্ছে না। তবে সেফ হোমের যাবতীয় পরিকাঠামো প্রস্তুত থাকছে। প্রয়োজনে তা চালু করতে সময় লাগবে না।’’
সেফ হোমগুলি গত চার মাস ধরে বন্ধ থাকলেও জরুরি ভিত্তিতে যাতে সেগুলি ফের চালু করা যায়, তার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে দাবি পুরসভার। অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে পুরসভা পরিচালিত পাঁচটি সেফ হোম চালু ছিল। পরে সংক্রমণ কমায় মে-র মাঝামাঝি থেকে ওই সেফ হোমগুলিতে রোগীর সংখ্যা কমতে থাকে। তখনই সেগুলি একে একে বন্ধ করা শুরু হয়। এর মধ্যে চারশো শয্যা নিয়ে আলিপুরের উত্তীর্ণ, ২০০ শয্যা নিয়ে বাইপাসের কাছে একটি বেসরকারি সংস্থার নবনির্মিত ভবন এবং পর্ণশ্রী পলিটেকনিক কলেজের পঞ্চাশ শয্যার সেফ হোম প্রয়োজনে ফের চালু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy