রাস্তার পাশে ঝোপের মধ্যে পরিত্যক্ত পিপিই।— নিজস্ব চিত্র।
রাস্তার ধারে পড়ে থাকা ব্যবহৃত পিপিই (পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট) ঘিরে দিনভর আতঙ্ক দক্ষিণ কলকাতার গরফায়। কে সরাবে সেই পিপিই, তা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে টানাপড়েন। বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে ওই পিপিই সরানো হলেও, এখনও রহস্য কোথা থেকে কী ভাবে এল ওই পিপিই। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, একটি গাড়ি থেকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে ওই পিপিই।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ। স্থানীয়রাই প্রথম দেখতে পান জীবনানন্দ সেতুর পাশে ঝোপের মধ্যে পড়ে রয়েছে ব্যবহৃত দুটি সাদা রঙের পিপিই। তা দেখে মুহুর্তের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয় গোটা এলাকায়। কলকাতা পুরসভার ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মধুছন্দা দে বলেন, ‘‘ সকালেই এলাকার মানুষ আমাকে ফোন করে খবর দেন। আমি নিজেও ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি পিপিই পড়ে রয়েছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে পুরসভাকে খবর দিই।”
এলাকার বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়ার্ডের সাফাই কর্মীরা ওই পিপিই সরাতে রাজি হননি। কাউন্সিলর বলেন, ‘‘ ওঁদের কোনও সুরক্ষামূলক পোশাক নেই। আমি কী করে ওঁদের বলব ওই পিপিই সরাতে?” কাউন্সিলরের অভিযোগ, পুরসভায় জানালে কাউন্সিলরকে থানায় খবর দিতে বলে হয়। গরফা থানার আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরাও জানিয়ে দেন ব্যবহৃত পিপিই সরানোর মতো পোশাক তাঁদের নেই। পুলিশ পড়ে থাকা পিপিই ঘিরে দেয়। যাতে কেউ কাছে যেতে না পারেন।
কোথা থেকে এল পিপিই, তা এখনও রহস্যই। —নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন: লকডাউন উঠলেই বিদেশে আটকে পড়াদের ফেরানো হবে, প্রস্তুতি কেন্দ্রের
আরও পড়ুন: লকডাউন মানা হচ্ছে? বাজারে ভিড় কেমন? আচমকা পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় দল
বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর পর থেকে শুরু হয়ে যায় দফতরে দফতরে টানাপড়েন। পুরসভার কোন দফতর ওই পিপিই সরাবে তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় চূড়ান্ত সংশয়। স্থানীয় বাসিন্দারা ফোন করেন বরো চেয়ারম্যান তপন দাশগুপ্ত-সহ পুরসভার বিভিন্ন মাপের আধিকারিকদের।
শেষ পর্যন্ত পুরসভার যে গাড়িগুলি বিভিন্ন জায়গায় জীবাণুমুক্ত করার কাজ করছে, এমন একটি গাড়ি এসে পৌঁছয়। সেই গাড়ি পিপিই এবং চারপাশের এলাকা জীবাণুমুক্ত করে। এর পর পুরসভার পক্ষ থেকেই ওই পিপিই তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তপন দাশগুপ্ত বলেন,‘‘ পুরসভাই সরিয়েছে। বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট বা বর্জ্য যারা সরান তাঁরাই সরিয়েছেন।”
সূত্রের খবর, পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, একটি গাড়ি থেকে ওই পিপিই ফেলা হয়েছে। তবে বিভাগীয় ডিসি (দক্ষিণ পূর্ব শহরতলি) প্রদীপ যাদবকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘‘ আমরা পুরসভাকে জানিয়েছিলাম। তাঁরা নির্দিষ্ট পদ্ধতি এবং সতর্কতা মেনে পিপিই-গুলি সরিয়েছে।” তবে জেনে শুনে ব্যবহৃত পিপিই ফেলে রোগ ছড়ানোর রাস্তা যাঁরা তৈরি করলেন তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা কেন নিচ্ছে না , তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি প্রদীপ যাদব। এই বিষয় নিয়ে দিনভর আতঙ্ক ঘিরে থাকে গোটা এলাকায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy