প্রতীকী চিত্র।
করোনা-আতঙ্ক দেখা দিয়েছে বাগবাজারের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায়। তবে তিন দিন কেটে গেলেও শনিবার রাত পর্যন্ত সেই ব্যাঙ্ক জীবাণুমুক্ত করা যায়নি বলে অভিযোগ। কর্তৃপক্ষের দাবি, ৫০০ টাকা জমা করলে তবে পুরসভা জীবাণুমুক্ত করার কাজ করে। সেই টাকা জমা করার জন্য অবশেষে রবিবারের তারিখ পাওয়া গিয়েছে।
পুরসভার যদিও দাবি, টাকার ব্যাপার নয়, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ করোনা-আতঙ্কের কথা চিঠি দিয়ে জানালেও জীবাণুমুক্তির কাজের জন্য ব্যাঙ্কের চাবি দিয়ে যেতে নারাজ। ফলে তারিখের পর তারিখ পেরিয়ে গেলেও সেই ভবন জীবাণুমুক্ত করা যায়নি।
গিরিশ অ্যাভিনিউয়ে ব্যাঙ্কের ওই শাখা সূত্রের খবর, সেখানকার এক কর্মীর আত্মীয়েরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। যদিও সেই আক্রান্তদের সন্তানের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তাঁকে নিয়ে নিজের কাছে রাখতে গিয়েই সম্ভবত এর পরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন ওই কর্মী। গত বুধবার তাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। বৃহস্পতিবারই তড়িঘড়ি বাগবাজারের ওই শাখার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেখানকার গ্রাহকদের ওই ব্যাঙ্কেরই শ্যামবাজার শাখায় যেতে বলা হয়।
কিন্তু শনিবারও বাগবাজারের ওই শাখার সামনে গিয়ে দেখা গেল, সকাল থেকে পরিষেবা পাওয়ার আশায় ভিড় করেছেন অনেকে। তবে এক কর্মী করোনা-আক্রান্ত শুনেই ভয়ে ফিরে গেলেন তাঁরা। আশপাশের বাসিন্দাদের অভিযোগ, পরিষেবা দেওয়া তো দূর, সেখানে জীবাণুমুক্তির কাজও হয়নি।
এলাকাটি কলকাতা পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। সেখানকার ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর পার্থ মিত্র বললেন, “কী করে স্যানিটাইজ় করব? ব্যাঙ্কের লোকজন তো চাবিই দিতে চান না। আমাদের দিতে হবে না, অন্তত নিরাপত্তাকর্মীদের তো চাবি দিয়ে যেতে পারেন!”
ওই শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক চন্দ্রপালী চৌধুরী যদিও বললেন, “পুরসভাকে দিয়েই করাতে হবে, এমন তো কোনও ব্যাপার নেই। আমাদের প্রধান শাখা থেকে এক বার স্যানিটাইজ় করা হয়েছে। ব্যাঙ্ক বা অফিস স্যানিটাইজ় করাতে পুর নিয়ম অনুযায়ী যে ৫০০ টাকা দিয়ে আবেদন করতে হয়, সেটা রবিবার করা হচ্ছে। ওই দিনই আমাদের সময় দেওয়া হয়েছে। আশা করা যায়, দ্রুত শাখার কাজ শুরু হবে। তত দিন গ্রাহকদের শ্যামবাজারের শাখায় যাওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy