বাড়তে পারে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা। —ফাইল চিত্র।
শহরের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে কলকাতা পুরসভা। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে যে ভাবে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে, তাতে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে ১৮টি কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হলেও, সেই সংখ্যাটা ৫০ ছাড়াতে পারে। এমনকি, ১০০-র কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে। এ বিষয়ে পুরসভা, কলকাতা পুলিশ এবং স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা নিজেদের মধ্যে বিষয়টি পর্যালোচনা করছেন। বুধবার বিকেলে শেষ পর্যন্ত শহরে কতগুলি কনটেনমেন্ট জোন হবে, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে রাজ্যের কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে নতুন করে কড়া লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রথমে এলাকাভিত্তিক কনটেনমেন্ট জোন এবং ওই কনমেন্ট জোন লাগোয়া বাফার জোন ছিল। তার পর সেই নিয়ম বদলে যায়। কোনও একটি লেন বা রাস্তার ঠিকানা ধরে কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হয়। তার পর চিহ্নিত করা হতো বাফার জোন। এর পর ফের নিয়ম বদলে বাড়ি, ফ্ল্যাট এবং আবাসন ভিত্তিক কনটেনমেন্ট জোন ঠিক করা হয়। গতকালের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বাফার জোনকে কনটেনমেন্ট এলাকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে আরও বড় এলাকা জুডে় আগামিকাল থেকে লকডাউন কার্যকর হতে চলেছে কলকাতায়।
কলকাতায় ইতিমধ্যেই মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৭ হাজার ৬৮০-তে। এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ৪৩৮ জন। সে কথা মাথায় রেখে কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যৌথ ভাবে নজরদারি চালাতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। সেই সঙ্গে ভবানীপুর, উল্টোডাঙা, মুকুন্দপুর, যাদবপুর, বাগবাজার, টালিগঞ্জ, গড়িয়াহাট, আলিপুর, নিউ আলিপুর, কসবা, ফুলবাগান, অজয়নগর, নয়াবাদ-সহ শহরের একাধিক এলাকা কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় আসতে চলেছে বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: কন্টেনমেন্ট জোনে লকডাউন ৭দিন, বললেন মুখ্যমন্ত্রী
কলকাতা পুরসভা তরফে এখনও পর্যন্ত ৪৫টি জায়গা কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়াও কলকাতা পুলিশ এবং স্বাস্থ্য ভবনের তরফে বেশ কিছু জায়গা নিয়ে আলোচনা চলছে। ওই জায়গাগুলিকে এখনই কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় আনা হবে কি না, এ দিনই সেই সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে।
জানা যাচ্ছে, আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্লেষণ করে একসঙ্গে, একই দিনে ১০০টি কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করে দেওয়া হতে পারে। অথবা এই মুহূর্তে যেখানের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত, সেই এলাকাগুলিকে কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় এনে বাকি জায়গাগুলিতে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হতে পারে। কলকাতার বিভিন্ন বরো চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা নিয়ে আলোচনা করছে কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যদের সঙ্গেও আলোচনা করছেন। কনটেনমেন্ট জোন কত গুলি হবে, নবান্নের সঙ্গে আলোচনা করেই তা চূড়ান্ত হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘রাজনীতি করলেও টপে যাবে সৌরভ’, জন্মদিনে জল্পনা উস্কে দিলেন ডোনা
পুরসভা সূত্রে খবর, লকডাউন কার্যকর হলে ওই এলাকায় অফিস, কল কারখানা, যান চলাচল, সমাবেশ, মার্কেট কমপ্লেক্স, সমস্তই বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসে ছাড় মিলবে। গত কয়েক দিন ধরেই কলকাতায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। মঙ্গলবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮৫০। তার মধ্যে কলকাতার ২৯১ জন ছিলেন। রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যাতেও রেকর্ড ছিল গতকাল। মারা গিয়েছেন ২৫ জন। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ রুখতে আরও কঠোর হতে চাইছে রাজ্য সরকার। বিশেষ করে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং মালদহে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যকর্তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy