তৎপরতা: করুণাময়ী সেতু বন্ধ করে চলছে স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ। সোমবার, টালিগঞ্জে। ছবি: সুমন বল্লভ
করুণাময়ী সেতুর পরেই চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে চেতলা উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। একই সঙ্গে চিৎপুর সার্কুলার খালের উপরে অবস্থিত সেতুটিরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
কেএমডিএ-র আধিকারিকেরা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পুলিশের অনুমতি চেয়েছিলেন। সেই অনুমতি পাওয়া গিয়েছে বলে তাঁরা জানান। বিজন সেতুর ব্যাপারে আলোচনা হলেও বিভিন্ন প্রযুক্তিগত ও পরিকাঠামোগত সমস্যা থাকায় এখনও পর্যন্ত ওই সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
কেএমডিএ-র সিইও অন্তরা আচার্য বলেন, “বিজন সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যাপারে আপ্রাণ চেষ্টা করছি। কিন্তু কিছু কিছু সমস্যা থাকায় দেরি হচ্ছে। অন্য উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজও দ্রুত করার চেষ্টা চলছে।”
কেএমডিএ সূত্রের খবর, লকডাউনের সময়ে যানবাহন না থাকার ফলে রাস্তা ফাঁকা থাকে। সেই সময়ে সেতু বা উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে সুবিধা হয়। মাঝেরহাট সেতু ভাঙার পরে কলকাতা এবং তার আশপাশে মোট ১৭টি সেতু এবং উড়ালপুলের কাঠামোর অবস্থা কী, তা জানতে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করেন। তার মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে এখনও আটটি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাকি।
লকডাউনের সময়েই যাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষ করা যায় তার পরিকল্পনাও ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য দফতর নিয়ম করেছে কোথাও বেশি সংখ্যক শ্রমিকের জমায়েত করা যাবে না।
এ ছাড়া সমস্যা রয়েছে শ্রমিকেরও। ফলে পরিকল্পনা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে ঠিকাদার সংস্থার পক্ষে সময় মতো কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। কেএমডিএ-র আধিকারিকেরা জানান, আটটি উড়ালপুল বা সেতুর ক্ষেত্রে সুযোগসুবিধা অনুযায়ী কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy