—ফাইল চিত্র
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই হিন্দু হস্টেলের আবাসিকদের হস্টেল খালি করতে বলেছে। যদিও অধিকাংশ আবাসিক জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা হস্টেল খালি করতে ইচ্ছুক নন। বরং তাঁরা চান, হস্টেলের দাবিদাওয়া নিয়ে চলা এই আন্দোলনের সমাধান হোক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার আগেই। পড়ুয়ারা আরও মনে করছেন, করোনা-আতঙ্ক নিয়ে বর্তমানে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে আবাসিকদের কথা ভেবে কর্তৃপক্ষের আরও মানবিক এবং তৎপর হয়ে সমস্যার সমাধান করা দরকার।
এক আন্দোলনকারী পড়ুয়া রবিবার বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অব স্টুডেন্টস অরুণকুমার মাইতির তরফে শনিবার একটি নোটিস আসে। তাতে লেখা ছিল, আগামী ১৬ মার্চের মধ্যে হিন্দু হস্টেল খালি করতে হবে। কিন্তু অধিকাংশ আবাসিকই হস্টেল ফাঁকা করতে চাইছেন না।’’ আবাসিকেরা জানাচ্ছেন, গত ৫৫ দিন ধরে তাঁরা যে সব দাবি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন, সেগুলির প্রায় কোনওটিই পূরণ হয়নি। এই অবস্থায় আন্দোলন বন্ধ করে অনেকেই বাড়ি ফিরতে চাইছেন না। প্রয়োজন হলে ছুটির মধ্যে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই মর্মে বন্ধ থাকবে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ও। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, পড়ুয়ারা কোথায় অবস্থান-বিক্ষোভে বসবেন?
আন্দোলনকারীদের একাংশের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কথা বলা হলেও প্রশাসনিক কিছু দফতর খোলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁরা সেখানে বিক্ষোভ দেখাবেন। সেই সঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, হস্টেলে রান্না হচ্ছে না দীর্ঘদিন। বাধ্য হয়ে তাঁদের বাইরে খেতে হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দিনের পর দিন বাইরে খেয়ে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সেই দায় তাঁদের নয়।
হস্টেল ফাঁকা করার প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অব স্টুডেন্টসকে ফোন করা হলে তিনি তা ধরেননি। এমনকি এসএমএসেরও কোনও জবাব দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy