—ফাইল চিত্র।
‘কাঠ মানি’ না কি ‘কাটমানি’— এই নিয়ে সরগরম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসে একটি মেহগনি গাছ কেটে পাচার হওয়া ঘিরে।
কিছু দিন আগে দেখা যায়, মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কাছে একটি মেহগনি গাছ কেউ বা কারা কেটে ফেলেছে। কাঠও সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জুটা) সদস্যেরা উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে ক্যাম্পাসে লাগাতার চুরি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে স্মারকলিপি দেন। তখন তাঁরা গাছ কেটে লোপাট হয়ে যাওয়ার ঘটনারও উল্লেখ করেন। সে সময়ে উপাচার্যের দফতরে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। নিয়মানুযায়ী, ক্যাম্পাসের দায়িত্ব তাঁর উপরেই বর্তায়। অভিযোগ, এই গাছ কাটায় কার লাভ হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তোলেন জুটা-র প্রতিনিধিরা।
শুক্রবার রেজিস্ট্রার বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তার মধ্যেই উপাচার্যের দফতরে শিক্ষকেরা গাছ কাটা নিয়ে কাটমানির প্রসঙ্গ তোলেন। আমি খুবই অপমানিত বোধ করছি। পদত্যাগের ইচ্ছাও প্রকাশ করেছি।’’ বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপা। সংগঠনের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সর্দারের দাবি, জুটা-র প্রতিনিধিরা রেজিস্ট্রারের উদ্দেশে ‘কাটমানি’ নেওয়ার মতো অপমানজনক কথা বলেছেন। কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তাঁরা।
জুটা-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় অবশ্য বলেন, ‘‘বিভিন্ন বিষয়ে স্মারকলিপি দিতে বুধবার উপাচার্যের দফতরে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে রেজিস্ট্রার ছিলেন। ক্যাম্পাসে কী ভাবে মেহগনি গাছ কেটে তার কাঠ পাচার করা হচ্ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ জানাই। এই কাঠ বিক্রির ‘মানি’ কারা পাচ্ছেন, সে নিয়ে প্রশ্ন ছিল। কিন্তু ‘কাটমানি’ শব্দটি কখনওই ব্যবহার করা হয়নি।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই নেতা দেবরাজ দেবনাথ বলেন, ‘‘যা ইচ্ছে তা-ই চলছে। কী করে একটা আস্ত মেহগনি গাছ কেটে লোপাট করা হল, সেই উত্তর কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy