অপেক্ষা: উদ্বোধনের আগে শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে মাঝেরহাট উড়ালপুলে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল মাঝেরহাট সেতু। প্রতিনিয়ত সেতুর স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে বিশেষ যন্ত্রপাতি বসানোর জন্য রাজ্যকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দিল রেল।
৫ নভেম্বর পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে সেতুতে ‘হেলথ মনিটরিং সিস্টেম’ বসানোর ছাড়পত্র দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৬৫০ মিটার লম্বা মাঝেরহাট সেতুর ২২৭ মিটার অংশ ধাতব কেব্লে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকবে। ওই অংশের প্রায় ১০০ মিটার পরিসরে সেতুর নীচে রেললাইন রয়েছে। ডায়মন্ড হারবার রোডে যানবাহনের চাপ এবং রেললাইনের উপরে ঝুলন্ত সেতুর গুরুত্বের কথা ভেবেই ওই সব যন্ত্রপাতি বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সেতুর কেবলে কোথায় কেমন ভার পড়ছে তা পরিমাপের যন্ত্র ছাড়াও বেয়ারিং অংশে বিশেষ সেনসর বসানো হচ্ছে। এর ফলে সেতুতে যান চলাচল শুরু হওয়ার পরে কোন সময়ে সেতুর কেবলে সব থেকে বেশি চাপ পড়ছে, তার নির্ভুল তথ্য পাওয়া যাবে। কোথাও বিচ্যুতি ঘটলে তা-ও দ্রুত ধরে ফেলা সম্ভব হবে। সেতুর ভারবহন ক্ষমতা যাচাই (লোড টেস্ট) করার আগে তাই ওই সব যন্ত্রপাতি বসানোর কাজ শেষ করা হচ্ছে। সেতুতে কেবল বসানো, ক্র্যাশ ব্যারিয়ার তৈরি এবং বিটুমিন কংক্রিট করার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: সৌরভ বা শুভেন্দু? পদ্মের মুখ নিয়ে রহস্য বাড়ালেন অমিত
সর্বাধিক ৩৮৫ টন পর্যন্ত ভার বহনের উপযোগী করে সেতুটি তৈরি করা হয়েছে। আপাতত বাড়তি তাড়াহুড়ো না করে অন্তিম পর্বের খুঁটিনাটি কাজ আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছে পূর্ত দফতর। কাজ সম্পূর্ণ হলে সেতুর ভারবহন ক্ষমতা যাচাই করতে দিন তিনেক লাগতে পারে। ওই সময়ে সেতুর উপরে প্রায় সর্বাধিক সীমা পর্যন্ত যানবাহনের ভার চাপিয়ে সেতুর কেবলগুলির প্রসারণ ক্ষমতা যাচাই করা হবে। স্থির অবস্থায় ওই সামর্থ্য যাচাই করার পরে ফের সেতুটিকে যানবাহন শূন্য অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে। দফায় দফায় ওই পরীক্ষা চলবে।
আরও পড়ুন: ক্ষতি পুষিয়ে দেবে রেল, পরিষেবা না পাওয়া দিন যোগ করে মেয়াদ বাড়বে সিজন টিকিটের
সেতুর প্রসারণ-সঙ্কোচনের সীমা কমবেশি ৫ মিলিমিটারের মধ্যে থাকলে তা ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবে। পরে উদ্বোধনের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। ফলে দীপাবলির আগে যাবতীয় পরীক্ষা-মিটিয়ে সেতু ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়ার সম্ভাবনা কম বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা। তবে গত কয়েক মাসে লকডাউনের পরে যে ভাবে সেতুর কাজ এগিয়েছে তাতে সন্তুষ্ট তাঁরা। গত পাঁচ মাস দিন-রাত কাজ করে সেতুর নির্মাণ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy