ভগ্নদশা: সল্টলেকের বিভিন্ন রাস্তার এমনই অবস্থা। তবু টনক নড়ে না প্রশাসনের। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য
বছরভর রাস্তা ভাঙাচোরা থাকছে। সেই অভিযোগের পাহাড় জমছে সল্টলেকে। তবু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। পুজোর আগে তাপ্পি দেওয়া হয়েছিল কিছু রাস্তায়। ওই তাপ্পির আবডালে পরিস্থিতি আরও বিগড়োচ্ছে বলেই মত বাসিন্দাদের। সল্টলেকে ব্লকগুলির গলি, বাগুইআটি, কেষ্টপুর এবং রাজারহাট-গোপালপুরের বিভিন্ন রাস্তারবেহাল দশা নিয়ে প্রশাসনের যুক্তি, ইতিমধ্যেই বিস্তারিত খসড়া প্রস্তাব নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন এলেই কাজ শুরু হবে।
বাসিন্দাদের অভিজ্ঞতা বলছে, এই আশ্বাসে কেটে যাবে আরও একটি শুকনো ঋতু। আর এক-দু’মাসের মধ্যে ভোটের ঢাকে পড়বে কাঠি। তখন দোহাই দেওয়া হবে নির্বাচনী-বিধির। অতএব, আগামী পুজোর মুখে আরও একটি তাপ্পি ভরা রাস্তা দেখার অপেক্ষায় বাসিন্দারা।
“দীর্ঘস্থায়ী রাস্তা মেরামতের ধারণাটাই যেন স্থানীয় প্রশাসনের অভিধান থেকে মুছে গিয়েছে।” ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছিলেন প্রবীণ এক বাসিন্দা। বিধাননগর পুরসভার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুরসভায় খারাপ রাস্তার তালিকা পাঠানো হয়েছে। একাধিক বাররাস্তার বিষয়ে চিঠিও লেখা হয়েছে। এখনও কাজ হয়নি।’’ ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর তুলসী সিংহরায় জানান, ওয়ার্ডের কিছু রাস্তা যথেষ্ট খারাপ হয়েছে। বাসিন্দারা অভিযোগ জানিয়েছেন। পুরসভাকে জানানো হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, পুজোর আগে বেহাল রাস্তাগুলির তাপ্পি দেওয়ার কাজ হয়েছিল। রাস্তার তালিকা করে খসড়া প্রস্তাব পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে জমা দেওয়া হয়েছে। কারণ, দীর্ঘমেয়াদি মেরামতিতে বিপুল টাকার প্রয়োজন।
সল্টলেকের পাশাপাশি বাগুইআটি, কেষ্টপুর, রাজারহাট-গোপালপুর অংশেও রাস্তা খারাপের অভিযোগ জানিয়েছেন বাসিন্দারা। পুরসভার দাবি, পরিস্রুত পানীয়জল সরবরাহের জন্য পাইপলাইন পাতার কাজ হয়েছে। সে কারণেই রাজারহাট-গোপালপুর অংশেরবিভিন্ন ওয়ার্ডে রাস্তায় প্রাথমিক মেরামতি করতে হয়েছে। সেখানেও রাস্তার স্থায়ী মেরামত হবে বলে আশ্বাস দিচ্ছে পুর প্রশাসন।
পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তাপস চট্টোপাধ্যায় জানান, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে থেকে প্রথম পর্যায়ে পাওয়া টাকায় মূলত
কিছু বড় রাস্তায় তাপ্পি মারা এবং দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার হয়েছিল। বাকি রাস্তার মেরামতির জন্য ফের প্রস্তাবদেওয়া হয়েছে। প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীরদাবি, পুজোর সময়ে কিছু রাস্তার প্রাথমিক সংস্কার হয়েছিল। আরও রাস্তার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অর্থ দফতরের অনুমোদন এলেই কাজ শুরু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy