বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় পুষ্পা বর্মার।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় এ বার চরমে উঠল রাজ্যের শাসক দলের পুর কোঅর্ডিনেটর বনাম মন্ত্রীর দ্বৈরথ। মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা ক্রেতা-সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের বিরুদ্ধে ওই বিধানসভা কেন্দ্রেরই অন্তর্গত ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর অমল চক্রবর্তীর অভিযোগ, “যে দুষ্কৃতীরা শুক্রবার সকালে আমার বাড়ি ভাঙচুর করেছে, রাতে তাদেরই থানা থেকে ছাড়িয়ে এনেছেন মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের অনুগামীরা।” সাধন অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মানিকতলার সাহেববাগান এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পুষ্পা বর্মা নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় শুক্রবার সকালে রাস্তা অবরোধ করেন মৃতার পরিজন ও প্রতিবেশীরা। ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। ঘণ্টা দেড়েক পরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে উর্দিধারীদের ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশ তাড়া করলে এক দল বিক্ষোভকারী পুর কোঅর্ডিনেটর অমলবাবুর বাড়িতে চড়াও হন বলে অভিযোগ। বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি বাড়ির দিকে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। তখনই পুলিশ ছ’জনকে আটক করে মানিকতলা থানায় নিয়ে যায়। পরে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ সূত্রের খবর। রাতেই লিখিত অভিযোগ করেন অমলবাবু।
যদিও রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ চার জনকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে পুলিশ ও মৃতার পাড়া সূত্রের খবর। আনন্দকুমার রায় নামে এক জনকে শুধু শনিবার আদালতে তোলা হয়। মৃতার ছেলে নেপাল বর্মা এ দিন বলেন, “পুলিশ রাতেই চার জনকে ছেড়ে দিয়েছিল। শুধু আনন্দকুমারকে ধরে রাখে।” থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অাধিকারিক জানান, জামিনযোগ্য ধারা ছিল বলে থানা থেকেই চার জন জামিন পেয়ে যান। যদিও এক জনকে কেন অাটকে রাখা হল, সে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। এক ব্যক্তির নাম করে অমলবাবুর দাবি, “রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ থানায় নিজের সেই লোককে পাঠিয়ে দুষ্কৃতী ছাড়িয়েছেন মন্ত্রী।” সাধন বলেন, “মিথ্যা কথা। আমি আমার বিধানসভার কোনও কো অর্ডিনেটরের নামে কিছু বলব না!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy