পুজোর পরেই এমন পড়ুয়াদের একত্রিত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। ফাইল ছবি
লেখাপড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের উপরে বাড়তি নজর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দফতর। সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তারা জানিয়েছে, একটি এলাকায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীরা সরকারি বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত সাধারণ স্কুলগুলিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়াশোনা করছে বলে দেখা গিয়েছে। কোনও স্কুলে হয়তো এমন পড়ুয়া এক জন, কোথাও দু’জন বা তিন জন। ফলে তাদের প্রতি আলাদা মনোযোগ দেওয়া শিক্ষকদের পক্ষে সব সময়ে সম্ভব হচ্ছে না। সেই কারণে শিক্ষা দফতরের সিদ্ধান্ত, এ বার থেকে একটি সার্কলের অধীনে থাকা সব স্কুল মিলিয়ে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন যত পড়ুয়া রয়েছে, তাদের একত্রিত করে একটি স্কুলেই পড়ানো হবে।
শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের ক্ষেত্রে গ্রাম পঞ্চায়েত এবং শহরের ক্ষেত্রে একটি পুরসভা এলাকায় থাকা বিভিন্ন স্কুলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়ুয়ার সংখ্যা কত, তার হিসাব করার কাজ শুরু হয়েছে। পুজোর পরেই এমন পড়ুয়াদের একত্রিত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। তার পরে দেখা হবে, যে স্কুলে বেশ কয়েক জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে, তাদের পড়ানোর মতো পরিকাঠামো সেখানে রয়েছে কি না। স্পেশ্যাল এডুকেটর আছেন কি না, দেখতে হবে তা-ও। যদি না থাকেন, তা হলে সংশ্লিষ্ট স্কুলে পর্যাপ্ত স্পেশ্যাল এডুকেটর দিতে হবে।
একই সঙ্গে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়ুয়াদের অন্য স্কুলে স্থানান্তরিত করার সময়ে যাতে তাদের বেশি দূরের স্কুলে যেতে না হয়, সে দিকেও লক্ষ রাখতে হবে। কলকাতা শহরের ক্ষেত্রে এমন স্কুলের দূরত্ব হতে হবে আধ কিলোমিটারের মধ্যে, গ্রামাঞ্চলে এক কিলোমিটারের মধ্যে। এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক— সব ধরনের স্কুলের ক্ষেত্রেই। ওই পড়ুয়াদের যাঁরা স্কুলে নিয়ে আসবেন, সেই এসকর্টদের যাতায়াতের খরচ মকুব করা হবে বলেও শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy