প্রতীকী ছবি।
সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরোনোর পরে আর খোঁজ মেলেনি যুবকের। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে সামান্য দূরত্বে ফাঁকা জায়গায় মিলল তাঁর দগ্ধ দেহ। জুতো দেখে স্বামীকে শনাক্ত করলেন স্ত্রী!
নিমতার ওই যুবককে খুন করা হয়েছে বলেই অনুমান তদন্তকারীদের। তাঁর দেহ দেখে পুলিশের ধারণা, আগুন ধরানোর আগে ইট দিয়ে তাঁর মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল। গলাতেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, ‘‘সন্দেহজনক কয়েক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’
পুলিশ জানায়, ওই যুবকের নাম শেখ জসিম (৩০)। নিমতার ফতুল্লাপুরে ভাড়া বাড়িতে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে থাকতেন তিনি। মূলত বিভিন্ন বাড়ি থেকে টিন ও লোহার ভাঙা জিনিস কিনে সেগুলি বিক্রি করতেন। জসিমের আদি বাড়ি কাটোয়ায়। তাঁর স্ত্রী রেণু বিবি পুলিশকে জানিয়েছেন, বুধবার বিকেলে বাড়ি ফিরেছিলেন জসিম। তখন বারুদ নামে এক যুবক তাঁকে ডাকতে আসেন। রেণু বলেন, ‘‘বারুদ বলেছিলেন, তিনি এক জনের থেকে টাকা পান। আমার স্বামীকে নিয়ে ওই টাকা আনতে যাবেন। আমি আপত্তি করায় বারুদ বলেন, ১৫ মিনিটের মধ্যে ফিরে আসবেন।’’ বারুদ বিভিন্ন অছিলায় মাঝেমধ্যে জসিমের থেকে টাকা নিতেন বলেও অভিযোগ করেছেন রেণু। তিনি জানান, সন্ধ্যায় জসিম না ফেরায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও সন্ধান মেলেনি। শেষে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ রেণু ফোন করেন বারুদকে।
রেণুর দাবি, বারুদ তাঁকে জানান, পরিচিতের থেকে না পেয়ে জসিমের থেকে টাকা চেয়েছিলেন। তা দিয়েই রাত ১০টা নাগাদ বাড়ি ফিরে যান জসিম। রেণু বলেন, ‘‘আমার স্বামী বাড়িতে মোবাইল রেখে যাওয়ায় যোগাযোগও করতে পারিনি। সকালে বারুদের বাড়ি গেলে উনি উল্টোপাল্টা কথা বলে তাড়িয়ে দেন।’’ বাড়ি ফিরে অন্য জায়গায় খোঁজ শুরু করেন রেণু। তখনই ছেলের থেকে জানতে পারেন, বাড়ি থেকে মিনিট তিনেকের দূরত্বে ফাঁকা জায়গায় একটি দেহ উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, তখনই তদন্তকারীরা জানতে পারেন ওই মহিলার স্বামী সারা রাত ধরে নিখোঁজ। রেণু গিয়ে জুতো দেখে জসিমকে শনাক্ত করেন। রেণু বলেন, ‘‘প্রতি শুক্রবার প্রায় দেড় হাজার করে ঋণের টাকা মেটাতে হত স্বামীকে। সেই টাকা ওঁর পকেটেই ছিল। মনে হচ্ছে, টাকা চাওয়া নিয়ে বচসার জেরেই ওঁকে খুন করা হয়েছে।’’
বারুদকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে নমুনাও সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। স্থানীয়েরা জানান, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে যে ফাঁকা জায়গায় জসিমের দেহ মিলেছে, সেখানে সচরাচর কেউ যাতায়াত করেন না। জায়গাটি পাঁচিল দিয়ে ঘেরা থাকলেও গেট নেই। তদন্তকারীদের অনুমান, অন্ধকারে সেখানে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে জসিমকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy