পথঘাটে কুকুর-বিড়ালের দাপটে অতিষ্ঠ হয়ে তাঁদের শরণাপন্ন হন জনগণ। এ বার বিড়ালের অত্যাচারে তুলকালাম অবস্থা তাঁদেরই।
পুরসভা সূত্রের খবর, গত এক সপ্তাহ ধরে একটি অসুস্থ বিড়ালের তাণ্ডবে হুলস্থূল দশা পুরকর্মীদের। গত দু’-তিন দিনে, সাত জন পুরকর্মী ওই বিড়ালের কামড়ে অসুস্থ হয়েছেন। শনিবার তাই পুরসভার ভিতরেই বিড়ালটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এক পুরকর্মীর কথায়, ‘‘বিড়ালটি কখন কোথায় থাকছিল, কেউ বুঝতে পারছিল না। ফলে যখন-তখন তার সামনে পড়ে যাচ্ছিলাম আমরা। আর তখনই ঘটছিল বিপত্তি। দেখামাত্র তেড়ে আসছিল বিড়ালটি। পালাতে না পারলেই কামড়। গত এক সপ্তাহে যে কত জনকে ইঞ্জেকশন নিতে হয়েছে!’’
শেষে এমন আতঙ্ক ছড়ায়, বিড়াল দেখলেই পালাচ্ছিলেন পুরকর্মীরা। ঠিক কোন বিড়ালটি অসুস্থ, তা নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন না কেউই। এ দিকে পুরসভা অত বড় বাড়িতে বিড়ালের সংখ্যা কম নয়। ফলে মার্জারকুলের যে কোনও প্রতিনিধিকে দেখামাত্রই ভয়ে দৌড়োদৌড়ি শুরু হয়ে যাচ্ছিল। কাজকর্ম প্রায় লাটে ওঠার দশা।
এমনকী, পুরসভার সচিবের গাড়িচালকও রক্ষা পাননি ওই বিড়ালের হাত থেকে। তিনি জানান, স্টার্ট দেওয়ার আগে, গাড়ির তলায় একটি বিড়াল দেখে সেটিকে বার করতে যান তিনি। বুঝতে পারেননি, এই বিড়ালই সেই বিড়াল! বিড়ালটিকে বার করতে যেতেই সটান এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে কামড় বসিয়ে দেয় সেটি।
এর পরে আরও এক জনকে কামড়ানোর পরে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় পুরকর্মীদের। শনিবার পুরসভা বন্ধ হওয়ার পরে, রাতে বিড়ালটিকে চিহ্নিত করে সেটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন তাঁরা। এই ঘটনার জানাজানি হতে অবশ্য নিন্দায় সরব বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠন। পশুপ্রেমী দেবশ্রী রায় বলেন, ‘‘আমি তো এমন ঘটনা শুনে হতবাক। এটা খুবই অন্যায়। অবোলা প্রাণী যদি কামড়ায়ও, তার তো চিকিৎসার সুযোগ আছে। আমি এ ব্যাপারে পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। যাঁরা এ কাজ করেছেন, তাঁদের যেন শাস্তি হয়।’’
পুরকর্মীদের অবশ্য সাফাই, বিড়ালটি যা শুরু করেছিল, তাতে বড় বিপদ হতে পারত। এক পুর কর্তা বলেন, ‘‘বিড়ালটি অনেককে কামড়াচ্ছিল। সকলে আতঙ্কে ছিলেন। পরিকল্পনা করে নয়, ভয়েই মেরে ফেলা হয়েছে বিড়ালটিকে।’’ পুরসভার এক আমলা জানান, পুরসভায় খাবারের লোভে মাঝেমাঝেই বিড়াল ঢোকে। এ ছাড়া অনেক ইঁদুরও আছে, যে জন্য স্বাভাবিক ভাবেই বিড়ালের সংখ্যা বেশি। এ জন্য পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দেওয়া দরকার। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy