আরজি কর-কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সেই রাতে কখন, কোথায় গিয়েছিলেন? বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য মিলিয়ে দেখছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, আরজি করের ওই ঘটনার আগে তিনি কলকাতার বাইরে ছিলেন। কোনও কাজে বেরিয়েছিলেন। সেখান থেকে কলকাতায় ফিরেই এই ঘটনা ঘটান। অভিযুক্ত কোথায় গিয়েছিলেন, ফেরার পর হাসপাতালে কখন, কোথায় যান, কার সঙ্গে দেখা করেন, সবটাই সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে। হাসপাতালের একাধিক আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, ধৃতকে বৃহস্পতিবার রাতে ১১টা নাগাদ হাসপাতালে ঢুকতে দেখা যায়। কিছু ক্ষণ ভিতরে কাটিয়ে আবার তিনি বেরিয়ে আসেন। বাইরে খাবার খান এবং মদ্যপান করেন। এর পর ভোর ৪টে নাগাদ তাঁকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হলের দিকে যেতে দেখা যায় সিসিটিভি ফুটেজে। সেখান থেকে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট পর তিনি বেরিয়ে আসেন। শুক্রবার সকালে সেমিনার হল থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়।
হাসপাতালে দ্বিতীয় বার কখন ঢুকলেন অভিযুক্ত? কখন উঠে গেলেন চার তলায়? প্রথম বার ঢোকার পর কাদের সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর? দ্বিতীয় বারই বা কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন সেমিনার হলের দিকে যাওয়ার আগে? সিবিআই সূত্রে খবর, সে রাতের ‘টাইমলাইন’ ধরে মেলাচ্ছেন গোয়েন্দারা। সিসিটিভি ফুটেজ খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার আগে কলকাতার বাইরে কী প্রয়োজনে, কোথায় গিয়েছিলেন অভিযুক্ত, তা-ও সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদও চলছে।
এই ঘটনায় আরজি করের একাধিক চিকিৎসক এবং কর্তৃপক্ষের বয়ান রেকর্ড করছে সিবিআই। সিজিও কমপ্লেক্সে বৃহস্পতিবার তলব করা হয়েছিল হাসপাতালের পালমোনারি মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরী এবং প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকে। এ ছাড়া, ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের এক মহিলা অধ্যাপকের বয়ানও রেকর্ড করা হয়। মৃত চিকিৎসকের সহকর্মীদের বয়ান রেকর্ড করছে সিবিআই।
আরজি করে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এর আগে প্রাথমিক ভাবে তদন্ত শুরু করেছিল কলকাতা পুলিশ। বৃহস্পতিবার নথি জমা দেওয়ার জন্য সিবিআই দফতরে গিয়েছিলেন টালা থানার ওসিও। আদালতের নির্দেশের পর থেকেই সিবিআই এই তদন্তে তৎপরতা শুরু করেছে। দিল্লি থেকে আধিকারিকেরা এসে তদন্ত করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy