প্রতীকী ছবি।
আনন্দপুরের নোনাডাঙায় এক প্রৌঢ়ার দেহ উদ্ধারের পরের দিনই অদূরের খাল থেকে মিলল এক নাবালকের দেহ। মৃত নাবালক নিহত প্রৌঢ়ার নাতি বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার নিহতদের গাড়ির চালক এবং তাঁর সঙ্গীকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, চালকের সঙ্গীও নাবালক।
বুধবার সকাল ৬টা নাগাদ ইএম বাইপাসের অদূরে নোনাডাঙা থেকে ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এলাকায় প্রাতর্ভ্রমণকারীরাই প্রথম দেখতে পেয়েছিলেন ঝোপের ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা দেহটি। নিহতের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রাতর্ভ্রমণকারীরাই আনন্দপুর থানায় খবর দেন। এর পর বৃহস্পতিবার সকালে বামনঘাটা খালে এক বালকের দেহ ভাসতে দেখা যায়। তত ক্ষণে অবশ্য নিহত দু’জনের পরিচয়ই জেনে ফেলেছে পুলিশ। চলছে অনুসন্ধান পর্ব।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত প্রৌঢ়া নারকেলডাঙা এলাকার বাসিন্দা। তিলজলায় তাঁর কয়েকটি বাড়ি রয়েছে। প্রতি মাসেই সেগুলি থেকে ভাড়া সংগ্রহ করতে যান তিনি। মঙ্গলবারও গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল নাবালক নাতি। কিন্তু তাঁরা কেউই ফেরেননি। যদিও রাতে এক বার প্রৌঢ়া তাঁর মেয়েকে মোবাইলে জানিয়েছিলেন, কিছু ক্ষণের মধ্যেই ফিরবেন তিনি। ধৃত গাড়িচালক নিহত মহিলার তিলজলার একটি বাড়ির ভাড়াটে। মঙ্গলবার তিনিই গাড়ি করে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁকে।
গভীর রাত পর্যন্ত না ফেরায় নিহতের পরিবার ওই গাড়িচালকের তিলজলার বাড়িতে গিয়েছিল। কিন্তু সন্ধান পায়নি। পরে জানা যায়, তালতলা এলাকাতেও একটি ডেরা আছে তাঁর। সেখান থেকেই গাড়িচালককে আটক করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ধৃত চালক মাদকাসক্ত। মঙ্গলবার ফেরার সময় তিনি দেরি করায় নিহত প্রৌঢ়ার সঙ্গে তাঁর বচসা হয়েছিল। চালক যুক্তি দিয়েছিলেন, গাড়িতে গ্যাস ভরতে গিয়েছিলেন তিনি। সে সময় চালকের সঙ্গী ধৃত নাবালকও ওই গাড়িতে ছিল। কিন্তু কেন তাঁরা গাড়ি নিয়ে আনন্দপুরের দিকে গিয়েছিলেন, কী ভাবে দু’জনকে খুন করা হয়েছিল, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy