প্রতীকী ছবি।
আরজি করের মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার মাঝেই আবারও কলকাতায় এক মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল। বুধবার সকালে আনন্দপুর এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বুধবার সকাল ৬টা নাগাদ আনন্দপুরের নোনাডাঙা এলাকায় প্রাতর্ভ্রমকারীরাই দেখতে পান দেহটি। ঝোপের ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল মহিলার দেহ। ওই মহিলার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। প্রাতর্ভ্রমণকারীরাই পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে যায় আনন্দপুর থানার পুলিশ। তারা দেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। মৃতার পরিচয় জানা চেষ্টা করছে পুলিশ।
এলাকাবাসীদের দাবি, ওই মহিলা স্থানীয় নন। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, মহিলাকে খুন করে ভোরের দিকে কেউ বা কারা ঝোপের ধারে ফেলে রেখে গিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, কী ভাবে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই পরিষ্কার হবে। আশপাশের এলাকায় যত সিসি ক্যামেরা রয়েছে, তার ফুটেজেও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীদের অভিযোগ, আনন্দপুর এলাকায় দিনে দিনে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব বাড়ছে। যে স্থানে দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখানে পর্যাপ্ত আলো নেই। সেই সুযোগেই দুষ্কৃতীরা অপকর্ম করছে। এর আগেও এখানে এমন ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ-প্রশাসনের নজরদারির অভাবের অভিযোগ তুলছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুলাই রাতে এই আনন্দপুর এলাকাতেই আরিফ খান নামে এক প্রোমোটারকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁকে ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন স্পষ্ট ছিল। তাঁকে উদ্ধার করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসার সময় মৃত্যু হয় আরিফের। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মহম্মদ জাকির নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে খুন করা হয়েছে আরিফকে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও আনন্দপুর এলাকায় দেহ উদ্ধার হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy