অবরুদ্ধ: আবর্জনায় ঢেকেছে বরাহনগরের বাগজোলা খাল। বিপর্যস্ত নিকাশি। নিজস্ব চিত্র
শহর থেকে শহরতলির অধিকাংশ খাল কার্যত ‘ভাগাড়’-এ পরিণত হয়েছে। যার ফলে বর্ষার জমা জলে ভাসছে সংলগ্ন এলাকা। বৃহস্পতিবার রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সঙ্গে সেচ দফতরের বৈঠকেও ফের উঠে এল খাল বুজে থাকার প্রসঙ্গ।
সমস্যার কথা স্বীকার করে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘এটা বড় ধরনের একটা সমস্যা। সেচ দফতরও বিষয়টি জানিয়েছে। যেমন কামারহাটি, বরাহনগর-সহ অনেক জাগাতেই খালের মধ্যে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। খালে কঠিন বর্জ্য থেকে শুরু করে বাড়ি ভেঙেও জিনিসপত্র ফেলা হচ্ছে।’’ এর ফলে খালের জলধারণ ক্ষমতা কমছে। বৃষ্টি হলে জল উপচে এলাকা ভাসাচ্ছে। ওই দিনের বৈঠকে ফিরহাদ ছাড়াও পুর ও নগরোন্নয়ন এবং সেচ দফতরের আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী আরও জানান, শহর ও শহরতলির সমস্ত খাল পরিষ্কার করা নিয়ে সেচ দফতরকে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি পুরসভাকে এলাকার খালের পলি তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সমস্যা যে গুরুতর অল্প বৃষ্টিতেই তার প্রমাণ মেলে শহর লাগোয়া দুই পুর এলাকা বরাহনগর ও কামারহাটিতে। ওই দু`টি এলাকার জমা জল বেরোনোর একমাত্র মাধ্যম হল বাগজোলা খাল। কামারহাটির জমা জলও বরাহনগরে এসে ওই খালের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। কিন্তু খাল দেখলে বোঝার উপায় নেই সেটি ভাগাড়, না খাল! কারণ বরাহনগরে ওই খালের অধিকাংশই জায়গাতেই জমে আছে আবর্জনা, গজিয়েছে ঝোপ-জঙ্গল। যা দেখলে মনে হবে খালের উপরে প্লাস্টিক-সহ বিভিন্ন আবর্জনার ‘চাদর’ বিছানো রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাঝেমধ্যে আবর্জনা তোলা হলেও নজরদারির অভাবে কিছু দিনেই একই অবস্থা তৈরি হয়। প্রশাসনের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, অনেক খালের ধারেই বাজার বসে। ব্যবসা শেষ হলে বিক্রেতারা আবর্জনা সরাসরি খালে ফেলছেন।
সেচ দফতর সূত্রের খবর, শহর ও শহরতলি মিলিয়ে প্রায় ৭০০ কিমি খাল রয়েছে। সারা বছরই খালগুলিতে সংস্কারের কাজ করে সেচ দফতর। জল প্রবাহ যাতে আটকে না থাকে তার জন্য বিশেষ নজর দেওয়া হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বাগজোলা, টালিনালা, নোয়াই, খড়দহ, চড়িয়ালের মতো বড় খাল ছাড়াও বিভিন্ন মাঝারি ও ছোট খালগুলি আবর্জনা পড়ে আটকে রয়েছে। সেচের আধিকারিকদের কথায়, ‘‘খালে আবর্জনা ফেলার বিষয়ে পুরসভাগুলি যাতে নজরদারির পাশাপাশি সচেতনতা প্রচারের কাজটিও করে, তার জন্যও পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে অনুরোধ করা হয়েছে।’’ আর খাল ঠিকমতো পরিষ্কার না থাকায় ভরা কোটাল কিংবা ষাঁড়াষাঁড়ি বানেও প্রবল সমস্যা হয় বলেও জানাচ্ছেন আধিকারিকেরা। ওই সময়ে জল বেরিয়ে না গিয়ে উল্টে গঙ্গার জল খালের মাধ্যমে এলাকায় ঢুকে যাচ্ছে। ফলে সকালের বৃষ্টির জমা জল নামতে বিকেল গড়িয়ে কখনও সন্ধ্যা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy