বিধানসভার অধ্যক্ষের জবাব চাইল হাই কোর্ট। — প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বিধায়কদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিধানসভার চৌহদ্দিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সেই মামলায় এ বার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও সচিব সুকুমার রায়ের থেকে হলফনামা তলব করল হাই কোর্ট। বিচারপতি শম্পা সরকার মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন। বিধানসভায় বিধায়কদের ‘দেহরক্ষী’ নিয়ে কেন ভিন্ন অবস্থান, তা নিয়েও অধ্যক্ষের থেকে জবাব তলব করেছেন বিচারপতি।
মামলাকারী পক্ষের অভিযোগ ছিল, বিধানসভা চত্বরের ভিতরে রাজ্য পুলিশের কর্মীরা প্রবেশ করতে পারলেও, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা ঢুকতে পারছেন না। সেই মামলার শুনানিতেই মঙ্গলবার বিচারপতি সরকার প্রশ্ন করেন, “তৃণমূলের বিধায়কেরা রাজ্য পুলিশ নিয়ে বিধানসভায় ঢুকতে পারলে বিজেপি বিধায়কেরা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ঢুকতে পারবেন না কেন? নিরাপত্তায় থাকা কর্মীদের নিয়ে স্পিকারের ভিন্ন অবস্থান কেন?”
প্রসঙ্গত, রাজ্যের তৃণমূল বিধায়কেরা রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। অন্য দিকে বিজেপি বিধায়কদের নিরাপত্তার দায়িত্বে সাধারণত থাকেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভায় বিধায়কদের ‘দেহরক্ষী’ প্রসঙ্গে কী অবস্থান, সে বিষয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ ও সচিবের থেকে হলফনামা চেয়ে পাঠালেন বিচারপতি সরকার। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান পরিস্থিতি যখন বিধানসভার কোনও অধিবেশন হয়, তখন বিজেপি বিধায়কদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের জন্য বিধানসভার চৌহদ্দির বাইরে থাকতে হয়। বিধানসভার বাইরে ছাউনি দিয়ে তৈরি একটি অস্থায়ী বিশ্রামস্থলের ব্যবস্থা করা হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যাতে বিধানসভার চৌহদ্দিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়, তা নিয়ে অতীতে বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে আবেদনও জানিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy