—ফাইল চিত্র।
সিংহ ও বিরল প্রজাতির বাঁদর পাচারের অভিযোগে ধৃত তিন জনের অন্তর্বর্তী জামিন খারিজ করল না কলকাতা হাইকোর্ট।
অভিযুক্তদের অন্তর্বর্তী জামিন খারিজ করতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে রাজ্য। বৃহস্পতিবার বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্তের আদালতে তারই শুনানি ছিল। বিচারপতি দাশগুপ্ত জানান, অভিযুক্তদের বক্তব্য না শুনে একতরফা ভাবে অন্তর্বর্তী কোনও নির্দেশ দেবেন না তিনি।
তবে বিচারপতি দাশগুপ্ত সরকারি কৌঁসুলি শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায় ও সৌরভ চট্টোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেন, অভিযুক্তদের মামলার নোটিস পাঠাতে এবং গরমের ছুটির পরে ১০ জুন হাইকোর্টের স্বাভাবিক কাজ শুরু হলে নির্দিষ্ট আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। তিনি জানান, ১৩ জুন নির্দিষ্ট আদালতেই মামলাটির শুনানি হবে।
কেন্দ্র ও রাজ্যের বন্যপ্রাণ অপরাধ দমন শাখা ৩১ মে ওই প্রাণীগুলিকে উদ্ধার করে। পরদিন সেগুলি আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ দিন সরকারি কৌঁসুলিরা আদালতে জানান, উদ্ধার হওয়া প্রাণীগুলি বন্যপ্রাণ আইনের প্রথম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত ও বিরল প্রজাতির। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে জেনেও ব্যারাকপুর আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট তাদের জামিন দেন। প্রাণীগুলি কোথায় পাচার হচ্ছিল, সে সব জানতে তদন্তের আগেই জামিন মঞ্জুর করেন নিম্ন আদালতের বিচারক। প্রাণীগুলি উদ্ধার হয়েছে জেনে তিনি ৫ জুলাই পর্যন্ত অভিযুক্তদের অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন।
অভিযুক্তেরা যাতে পালাতে না পারে, সে জন্য পাসপোর্ট বন্যপ্রাণ দফতরের কাছে জমা রাখার আবেদন জানান সরকারি কৌঁসুলিরা। তাঁরা অভিযোগ করেন, তদন্তকারীদের কাছে প্রতি সপ্তাহে হাজিরা দেওয়ার শর্ত দিয়েছেন বিচারক। এখনও সেই শর্ত পূরণ করেনি অভিযুক্তেরা। ৫ জুলাইয়ের আগের কোনও তারিখে নিম্ন আদালতে দায়ের হওয়া মামলাটি শুনানির জন্য ধার্য করার নির্দেশ দিক হাইকোর্ট।
বিচারপতি দাশগুপ্ত সরকারি কৌঁসুলিদের জানান, মামলার নোটিস অভিযুক্তদের ‘রেজিস্টার্ড পোস্ট’-এ পাঠাতে নির্দেশ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy