—প্রতীকী চিত্র।
এক ব্যবসায়ীকে চপার দিয়ে কুপিয়ে লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই করে চম্পট দিল তিন দুষ্কৃতী। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে সোনারপুর থানার কালীতলা মোড় এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ মণিলাল পটেল নামে এক ব্যবসায়ী বাড়ির লাগোয়া নিজের কাঠগুদামে যাচ্ছিলেন। তাঁর হাতের ব্যাগে দেড় লক্ষ টাকা ছিল। আচমকা একটি মোটরসাইকেলে চেপে তিন জন তাঁর সামনে দাঁড়ায়। অভিযোগ, দু’জন মোটরসাইকেল থেকে নেমে মণিলালের ব্যাগ ধরে টানাটানি শুরু করে। ব্যাগটি দুষ্কৃতীদের থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি। তখনই এক দুষ্কৃতী তার বাঁ হাতে চপার দিয়ে কোপ মেরে ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। অন্য জন মণিলালের দিকে রিভলভার তাক করলেও গুলি মাটিতে পড়ে যায় বলে দাবি ব্যবসায়ীর। এর পরেই মোটরসাইকেলে তিন জন বারুইপুর বাইপাসের দিকে চলে যায় বলে জানান কয়েক জন প্রত্যক্ষদর্শী। তিন দুষ্কৃতীরই মুখ খোলা ছিল। কারও হেলমেট ছিল না।
গুরুতর জখম মণিলালকে ই এম বাইপাস সংলগ্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীরা বাইরে থেকে এসে হামলা চালিয়েছে। কারণ, এলাকায় তারা পরিচিত নয়। সেই কারণেই মুখ খোলা অবস্থায় এসে ওই ব্যবসায়ীর উপর হামলা চালিয়েছে। সকালে টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে কাঠগুদামে যান ওই ব্যবসায়ী, সেই খবর দুষ্কৃতীদের কাছে ছিল। ফলে আচমকা নয়, পূর্ব পরিকল্পনা করেই হামলা চালানো হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের।
সাতসকালে এমন ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। খবর পাওয়ার প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে সোনারপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় বলেও অভিযোগ। মণিলালের বাবা অর্জুন পটেলও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে সামান্য দূরে কালীতলা মোড়ে ট্র্যাফিক পুলিশ ছিল। কিন্তু পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে দুষ্কৃতীরা পালাল।”
বেলা ১১টা নাগাদ দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে এন এস সি বসু রোড অবরোধ করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পুলিশের সঙ্গে কয়েক জন ব্যবসায়ীর ধস্তাধস্তিও হয়। অভিযোগ, পুলিশ অবরোধকারীদের লাঠি চালিয়ে হটিয়ে দেয়। লাঠির আঘাতে কয়েক জন জখম হয়েছেন বলেও দাবি।
বারুইপুর পুলিশ জেলার এক কর্তা বলেন, “প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে দুষ্কৃতীদের চেহারার বিবরণ পাওয়া গিয়েছে। তাদের খোঁজ চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy