৪৩২ একর আয়তনের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পতালুক। রাস্তাও বেশি নেই। তবু ওই শিল্পতালুক গাড়ি ও মানুষের ভিড়ে টক্কর দিচ্ছে কলকাতার সঙ্গে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য চালু হয়েছে একাধিক সরকারি ও বেসরকারি বাসরুট। বিভিন্ন জেলা ও শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিল্পতালুকে যাতায়াতের জন্য চালু হয়েছে একাধিক বাস। এ ছাড়া কয়েকশো তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার গাড়ি, ট্যাক্সি, ক্যাব তো আছেই। অথচ নেই আধুনিক বাসস্ট্যান্ড।
সেই অভাবটাই এ বার পূরণ করতে চলেছেন প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে রিং রোড তৈরি করে সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে। রয়েছে বানতলা যাওয়ার লিঙ্ক রোডও। এই রাস্তায় যাতায়াত বাড়ছে। সেই নিরিখে ২১৫এ রুটের বাসস্ট্যান্ডটির ভোল বদলাতে চলেছে নবদিগন্ত কর্তৃপক্ষ। এলাকায় বাসস্ট্যান্ড বলতে ওই একটিই। যদিও তা আয়তনে ছোট। অথচ কয়েক হাজার মানুষ নিত্য দিন ওই বাসস্ট্যান্ড দিয়ে যাতায়াত করেন, প্রতীক্ষা করেন। গ্রীষ্ম-বর্ষায় সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা।
নবদিগন্ত পরিচালকমণ্ডলী সূত্রের খবর, যাত্রী কিংবা চালক উভয় পক্ষের কথা বিবেচনা করে এবং এলাকার সৌন্দর্যায়নের জন্য ওই বাসস্ট্যান্ড সাজানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রতীক্ষালয়ের দু’টি সুদৃশ তোরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে মোবাইলের চার্জ দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি ব্যাটারিচালিত গাড়ি চার্জেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারণ সল্টলেক থেকে নিউ টাউন পর্যন্ত ব্যাটারিচালিত গাড়ির ব্যবহার বাড়লেও তা চার্জ করার মতো সর্বত্র ব্যবস্থা নেই। বাসস্ট্যান্ডে পানীয় জল, ক্যান্টিন চালুর ভাবনাও আছে। সৌন্দর্যায়নের জন্য বিভিন্ন গাছ বসানো হবে। সূত্রের খবর, এ কাজে খড়গপুর আই আই টি-র বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও নেওয়া হচ্ছে।
নবদিগন্তের চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন জানান, উন্নয়নে কাজ চলছে। এক দিকে পার্কিং সমস্যার সমাধানেও যেমন জোর দেওয়া হয়েছে, তেমনই বাসস্ট্যান্ডের হাল ফেরানোর চিন্তাভাবনাও করা হয়েছে। বাসস্ট্যান্ড নিয়ে মানুষের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। দ্রুত সেই কাজ শেষ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy