অনেকে হোটেলে গিয়ে উঠেছেন ঠিকই, তবে এমনও অনেকে রয়েছেন যাঁদের সেই সামর্থ্য নেই। মাথা গোঁজার জায়গা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন তাঁরা।
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতাশেষ আপডেট: ১২ মে ২০২২ ১৭:১৫
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১০
চার দেওয়ালের আশ্রয়ে ফাটল। বিপদ এড়াতে বৌবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনের বাসিন্দাদের ঘর ছাড়তে বলেছিল প্রশাসন। রাতারাতি ঘর খালি করার সেই নির্দেশ পেয়ে এলাকার পুরনো বাসিন্দা থেকে নতুন ব্যবসায়ীরা কিছুটা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
০২১০
বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই এলাকার আট-দশটি বাড়িতে দেখা গিয়েছে ফাটল। কোথাও ছাদ ফেটেছে, কোথাও ফেটেছে দেওয়াল। দুর্গা পিতুরির বাসিন্দারা দুরুদুরু বুকে মনে করেছেন আড়াই বছর আগের কথা। আর ভেবেছেন, এ বারও কি তবে প্রিয় জিনিসের মায়া কাটিয়ে পথে নামাই ভবিতব্য!
০৩১০
২০১৯ এর অগস্টে এই দুর্গা পিতুরিরই বাসিন্দাদের এক কাপড়ে বেরিয়ে আসতে হয়েছিল বাড়ি ছেড়ে। সঙ্গে নিতে পেরেছিলেন শুধু কিছু একান্ত প্রয়োজনীয় জিনিস।
০৪১০
তার আড়াই বছর পর বৃহস্পতিবারও ওই এলাকায় একই ছবি। অস্থায়ী সংসারের লক্ষ্যে কেউ রিক্সায় চাপিয়েছেন স্টোভ, গ্যাস সিলিন্ডার, মাদুর, দেরাজ, বাক্স প্যাঁটরা। কেউ রাস্তাতেই নামিয়ে এনেছেন নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাব।
০৫১০
প্রায় সব বাসিন্দার কপালেই চিন্তার ভাঁজ এবং পুরনো ঠিকানায় ফিরতে পারা নিয়ে অনিশ্চয়তা।
০৬১০
অনেকে হোটেলে গিয়ে উঠেছেন ঠিকই, তবে এমনও অনেকে রয়েছেন যাঁদের সেই সামর্থ্য নেই। মাথা গোঁজার জায়গা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন তাঁরা।
০৭১০
কেউ আবার ছাড়তে চাননি বাড়ি। ফাটল ধরেছে জেনেও থেকে যেতে চেয়েছেন চেনা আশ্রয়ে। বলেছেন, বাড়ি যে ছাড়ব যাব কোথায়? প্রশাসন তো শুধু চলে যেতে বলছে। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ পাল্টা ব্যবস্থার আশ্বাস দিচ্ছে কোথায়!
দুর্গা পিতুরি কেমন আছে, তা দেখতে এসেছেন শহরের মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এসেছিলেন পুলিশ কমিশনার। বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু তারপরও আতঙ্ক থেকে গিয়েছে এলাকার মানুষজনের মনে।
১০১০
মেট্রোরেলের কাজের ভুলেই এলাকায় ফাটল ধরেছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে বাড়ি থেকে উৎখাত হওয়া দুর্গা পিতুরিবাসীদের আশ্বস্ত করেছে প্রশাসন এবং মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষও। তাঁরা জানিয়েছেন শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং তা হচ্ছেও। যদিও তাতে এখনই সুরাহা পাচ্ছে না মানুষ।