অকুস্থল: এখানেই মেলে সঞ্জয়ের দেহ। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
স্থানীয় এক যুবকের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে শনিবার চাঞ্চল্য ছড়াল চিৎপুর রেল ইয়ার্ডে। মৃতের নাম মহম্মদ আলি ওরফে সঞ্জয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁকে খুন করে ইয়ার্ডে ফেলে রেখে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। যদিও রেলপুলিশ সূত্রে খবর, ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে রক্তক্ষরণে সঞ্জয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান গিয়েছে। পুলিশ জানায়, প্রায় প্রতি দিনই নেশা করতেন সঞ্জয়। শুক্রবার রাতেও তিনি নেশা করেছিলেন। ময়না-তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যু কারণ সঠিক ভাবে জানা যাবে। রেলপুলিশ জানিয়েছে, সঞ্জয় ঝোপের মধ্যে পড়ে যান বলে তাঁর শরীরে একাধিক জায়গায় দাগ রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ইয়ার্ডের ছ’ নম্বর কন্টেনার গেটের ভিতর রেললাইনের মাঝখানে উপুড় হয়ে সঞ্জয়ের দেহ পড়েছিল। তাঁর গায়ে জামা ছিল না। দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন রেলসুরক্ষা বাহিনীর টহলরত কর্মীরা। তাঁরাই দমদম রেলপুলিশ থানায় খবর দেন।
সঞ্জয়ের বাড়ি খগেন চ্যাটার্জি রোডের একটি বস্তিতে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, চিৎপুর রেল ইয়ার্ডে মালবাহকের কাজ করতেন তিনি। বাড়িতে বাবা, মা, স্ত্রী ও চার সন্তান রয়েছেন। সঞ্জয়ের বাবা শেখ আফসানা ইছাপুর গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। সম্প্রতি অবসর নিয়েছেন।
ওই যুবকের স্ত্রী মর্জিনা বেগম জানান, শুক্রবার সকালে তাঁর স্বামী কাজে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরোন। রাতে বাড়ি ফেরেননি। এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ পাড়ার ছেলেরা এসে খবর দেন, ইয়ার্ডের ভিতর তাঁর স্বামীর দেহ পড়ে রয়েছে।
স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্য শেখ সাবির জানান, শুক্রবার রাতেই পাড়ার সেলুনে স়ঞ্জয় চুল কাটতে গিয়েছিলেন। এ দিন সকালে ইদের চাঁদা তুলতে বেরিয়েছিলেন পাড়ার ছেলেরা। তখন রেলসুরক্ষা বাহিনীর এক কর্মী তাঁদের জানান, ইয়ার্ডের ভিতরে এক জনের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। পাড়ার যুবকেরা সেখানে গিয়ে সঞ্জয়কে শনাক্ত করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy